সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন চোরাবালিতে আটকে গেছে, ঢাকঢোল পিটিয়ে তারা আন্দোলন শুরু করে আর প্যানপ্যানানিতে তা শেষ হয়। দৌড়াতে দৌড়াতে পদযাত্রা থেকে এখন মানববন্ধনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার(২৪ মার্চ) বিকালে ফরিদপুর সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ নেই, সেই আন্দোলন কখনও সফল হয় না। বিএনপির টার্গেট দেশে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করা, আন্দোলনে তারা ব্যর্থ।
বিএনপিতে গণতন্ত্রের চর্চা নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অবৈধ দলের অবৈধ মহাসচিব ফখরুল বড় বড় কথা বলেন, অথচ দীর্ঘ সময় ধরে তারা দলের সম্মেলনও করেন না। যারা নিজ দলে গণতন্ত্রের চর্চা করেন না তারা দেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে করবেন। যে দলে নেতা নেই, সেই দল আন্দোলনেও ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচনে কে তাদের নেতা? তারা দুজনেই দণ্ডিত। বিএনপির এখন কিছুই করার নেই। এখন তারা নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করবে, তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে যে কোনো নাশকতা বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা গায়ে পড়ে আক্রমণ করব না, তবে যদি তারা (বিএনপি) আক্রমণ করে তবে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমুচিত জবাব দেবে। তিনি যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার বিরুদ্ধে দাঁত ভাঙা জবাব দিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংবিধান থেকে আমরা এক চুলও নড়ব না। সুপ্রিম কোর্ট যে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে, সেই তত্ত্বাবধায়কের কাছে আর ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এ সময় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।