
ঘোষণা ডেস্ক : নিয়ম না মেনে পরিচালনার অভিযোগে চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি আইপি টিভির অফিস সিলগালা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২৬ জুন) সচিবালয়ে ড. কামরুল হকের ‘সংবাদপত্রে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, এমন অভিযান সারাদেশেই চালানো হবে। নিয়মনীতি না মেনে যারা এসব চ্যানেল পরিচালনা করছে, মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করছে এমন চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সচিবালয়ে উপস্থিত টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে সব চ্যানেল বৈধ, সরকার নিবন্ধিত। এখানে সকল টেলিভিশন বিটিআরসিকে বছরে ২০ লাখ টাকা ফি দেয়। আমাদের সরকার ৫০টির কাছাকাছি টেলিভিশনের অনুমোদন দিয়েছে, এরমধ্যে ৩৬টি সম্প্রচারে আসছে। আরও কিছু আসার পথে। কিন্তু বাইরে কোনো অনুষ্ঠানে যাবেন দেখবেন একই ধরনের বুম (মাইক্রোফোন) নিয়ে হাজির হয়ে গেছো কিছু টিভি চ্যানেল। এদের আর টেলিভিশন চ্যানেলের রিপোর্টারদের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। এরা ফুটেজ সংগ্রহ করবে। নিউজ পরিচালনা করবে ইচ্ছামতো। আবার তারা দুই পক্ষের কাছ থেকেই টাকা নিয়ে পক্ষপাতিত্বমূলক নিউজ করবে। এমন ঘটনা সারা দেশে হচ্ছে। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। এটি করতে গিয়ে দেখা গেছে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে গেছে। একটি আইপি টিভির অফিসে ভেজাল ঘি এবং মধুর রমরমা বাণিজ্য।
সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে তারা সাংবাদিক নিয়োগ দেয়, ওই সাংবাদিকদের কাছ থেকে টাকা নেয়। মেইনস্ট্রিমে সব সাংবাদিক টাকা পায়, কিন্তু ওই চ্যানেলের সাংবাদিকরা উল্টো মালিকদের টাকা দেয়। তাই এগুলো বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।