ঘোষণা ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, “অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকারের চেয়ে শিক্ষিত বেকারের বোঝা পরিবার ও সমাজের জন্য অনেক বেশি কষ্টের।”
শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকালে কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মূল ক্যাম্পাসে অবকাঠামো গড়ে না ওঠায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হয় কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে।
ইংরেজি, গণিত, হিসাববিজ্ঞান ও কম্পিউটার সায়েন্স- এ চার বিভাগে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির।
কিশোরগঞ্জ শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার বৌলাই এলাকায় ১০৩ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “তাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সময় এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে শুধুমাত্র শিক্ষার জন্য শিক্ষা বা সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা উচিৎ হবে না।”
বিশ্ববিদ্যালয় অর্জিত জ্ঞানের গুদাম ঘর নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “একটি প্রতিষ্ঠান, যা থেকে জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাতাদের আবির্ভাব ঘটে, নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে; আজ থেকে কিশোরগঞ্জে সেই বাতিঘরের যাত্রা শুরু হলো। একে লালন করতে, পৃষ্ঠপোষকতা দিতে এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্র-শিক্ষকের বাইরে স্থানীয় জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।”
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সমাজের বাতিঘর, যা থেকে সবসময় আলো ছড়ায়, মানবিকতার বিকাশ ঘটায় এবং সমাজকে আলোর পথ দেখায়।”
কিশোরগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেডএম পারভেজ সাজ্জাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সামাদ, কিশোরগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. ইমান আলী, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম মুশতাকুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।