
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রামে সহিংসতা, টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড ও অবৈধ সশস্ত্র তৎপরতা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ। তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশ বাহিনী ছাড়া অন্য কোনও বাহিনী থাকতে পারবে না। সাজ্জাদ বাহিনী, লাল্টু বাহিনী, পল্টু কিংবা যেকোনো নামে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী বাহিনী নির্মূল করা হবে। প্রয়োজনে চরম পন্থা অবলম্বন করতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না পুলিশ।’ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল করতে বিতাড়িত স্বৈরাচার ও তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা পরিকল্পিতভাবে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা করছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশন, অস্ত্র উঁচিয়ে ভিডিও ধারণ, বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনাগুলো এরই অংশ। মূল লক্ষ্য হলো ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভোটার উপস্থিতি কমিয়ে দেওয়া। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নগরজুড়ে স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। থানাগুলো দিনে আট থেকে ১০ বার চেকিং করা হচ্ছে। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কমিশনার থেকে কনস্টেবল; সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ মাঠে থাকবে। ব্যারাকে ঘুমানোর মতো ফোর্স রাখা হয়নি। নির্বাচনের পর সম্ভাব্য সহিংসতা মোকাবিলায় আরও অন্তত সাত দিন অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে।’
জুলাই আন্দোলনের সময় লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রায় ৮০ শতাংশ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বাকি অস্ত্রের একটি বড় অংশ পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কাছে থাকার তথ্য আছে। এসব অস্ত্র নির্বাচনে ব্যবহার হতে পারে; এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এসব অস্ত্র উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’
নিজের সহকর্মীদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, ‘মনোভাবে দৃঢ় হতে হবে। কিন্তু আচরণে হতে হবে বিনয়ী। শতভাগ আইন প্রয়োগ করতে হবে। সাংবাদিকরা পুলিশের মতো প্রশিক্ষিত নন, তাদের সুযোগ-সুবিধাও পুলিশের মতো নয়- বিষয়টি মাথায় রেখে ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও চ্যানেল ওয়ানের ব্যুরো প্রধান শাহনেওয়াজ রিটনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পিপলস ভিউ সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর, দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম ও প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. আরিফ প্রমুখ।
অপরাধ ঘোষনা aporadhghoshona
