
মো: জিয়াউল হক :চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডের পূর্ব পাশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্লাস্টিক কারখানা ও ঝুটের গুদামসহ কয়েকটি বসতবাড়ি । তবে এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাত ২টার সময় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরপর আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এক্সেস রোডের মুখে আহাদ কনভেনশন হলের পাশে রাতে প্রথমে জুটের গুদামে আগুন লাগে। এরপর পাশের প্লাস্টিক কারখানা ও কয়েকটি বাসাবাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। জুটের গুদাম ও কারখানা ব্যক্তি মালিকানাধীন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মন্নান বলেন, রাত ২টার সময় আগুনের সংবাদ আসে। এরপর ৪টি স্টেশনের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। রাতে ৪টা ৪৫ মিনিটের সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও দীর্ঘ সময় নির্বাপণ করা যায়নি।
পর্যাপ্ত পানি না থাকায় বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। কারখানায় থাকা দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। আগুনে সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঝুট গুদাম ও কারখানা স্থাপন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।তারা জানান, মেশিনের বিকট শব্দে দিনরাত শিশুরা পর্যন্ত শান্তিতে ঘুমাতে পারেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনার আগেও এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো। এরপরেও তারা কোন প্রকার সাবধানতা অবলম্বন করেনি। এস আলম গ্রুপ এরকম একটা জায়গায় কেমনে কারখানা স্থাপনের অনুমতি দিলো সেটাই এলাকাবাসীর প্রশ্ন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা স্থাপন করে যারা জনগণের আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন তাদেরকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।