
ঘোষণা ডেস্ক :বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সব ধরনের প্রচারণা কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেসবুক, ইউটিউব, অনলাইন ও প্রিন্ট গণমাধ্যমসহ যেকোনো মাধ্যমে দলটির পক্ষে প্রচার, বিবৃতি, জনসমাবেশ, সভা-সমাবেশ, বক্তৃতা, সংবাদ সম্মেলন এবং মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রবিবার (১১ মে) এ সংক্রান্ত নতুন একটি অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যার মাধ্যমে কার্যকর হলো সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫।
অধিবেশন ছাড়াই এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এ বড় ধরনের সংশোধন আনা হলো, যার অন্যতম লক্ষ্য হলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত দল বা গোষ্ঠীগুলোর প্রচারণা ক্ষমতা সীমিত করে তাদের রাজনৈতিক ও জনসম্পৃক্ত কার্যক্রমকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা।
অধ্যাদেশের মূল প্রতিপাদ্য: সন্ত্রাসে জড়িত সত্তার প্রচারণা নিষিদ্ধ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং উহাদের কার্যকর শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণীত হয়। তবে তাতে কোনো রাজনৈতিক দল বা সত্তার ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধের’ জন্য সরাসরি কোনো বিধান ছিল না। ফলে আইনটিকে সময়োপযোগী করতে এবং সংঘবদ্ধভাবে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে আইনটির সংশোধন জরুরি হয়ে পড়ে।”
সেই প্রেক্ষাপটে নতুন অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে যুক্ত করা হয়েছে—যদি সরকার যুক্তিসংগত প্রমাণ পায় যে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দল সন্ত্রাসে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তবে তাদের প্রচার, প্রকাশনা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, এমনকি অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা যাবে।