শিরোনাম
Home / অপরাধ / চট্টগ্রামে সন্তান দত্তকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা, ২ শিশু উদ্ধার

চট্টগ্রামে সন্তান দত্তকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা, ২ শিশু উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক :যমজ সন্তানের মা-বাবা হতে যাচ্ছেন জেনে অনাগত সন্তানদের বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হাবিবুর রহমান ও মুন্নী আকতার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্তান জন্মের পর ছেলেশিশুকে ৩ লাখ ও মেয়েশিশুকে এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন এই দম্পতি। তবে সন্তান বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে আদালতের দ্বারস্থ হন মুন্নী। সন্তান চুরির অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে রবিবার(৯ ই জুন) পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটপ্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।

নাইমা সুলতানা বলেন, মুন্নীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। গত শনিবার রাঙ্গুনিয়া থানার রাজানগর ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ মাস পাঁচ দিন বয়সী শিশু দুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানা এলাকা থেকে শিশু রায়ান ও অক্সিজেন এলাকা থেকে ফাহমিদকে উদ্ধার করা হয়।

পিবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিরু আক্তার নামের এক নারী ছেলেসন্তান এবং রুনা আক্তার নামের এক নারী মেয়েসন্তান দত্তক নিতে চাচ্ছিলেন। রাশেদা বেগম নামের এক নারীর মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে মুন্নীর পরিচয় হয়। মুন্নী ছেলেকে তিন লাখ এবং মেয়েকে এক লাখ টাকায় বিক্রি করতে রাজি হন।  মুন্নীর প্রসবকালীন চিকিৎসা বাবদ অর্থও দিতে রাজি হন শিরু এবং  রুনা। এছাড়া মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রাশেদাকেও এক লাখ টাকা দেন ওই দুই নারী।

এদিকে সন্তান বিক্রির পর কিছুদিন মুন্নীর স্বামী তাঁকে মারধর করে দেড় লাখ টাকা নিয়ে যান। ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্নী স্বামীর বিরুদ্ধে মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তেই উঠে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Check Also

প্ল্যান পাশ এবং চাকরী দেওয়ার নামে সিডিএ’র সেকশন অফিসার সুবীরের কোটি টাকা আত্মসাৎ

বিশেষ প্রতিনিধি :চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেকশন অফিসার সুবীর বড়ুয়া চাকরী জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছালেও …