
এম.জিয়াউল হক: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ ও কর্ণফুলী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ২১ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটে কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের চরফরিদ ২ নম্বর ওয়ার্ডে ফয়সাল সিএনজি স্টেশনের পাশের ইউটার্ন পাকা সড়কে ট্রাফিক পুলিশের একটি টিম চেকপোস্ট ডিউটি পালন করছিলো। এ সময় সার্জেন্ট মো: তফছিরুল ইসলাম, সার্জেন্ট মো: ইমতিয়াজ শাহরিয়ার ভূঁইয়া এবং কনস্টেবল মো: সালাউদ্দিন, মো: মজিবুর রহমান ও মো: মোজাম্মেল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ১১টি রেজিস্ট্রেশন বিহীন গ্রাম সিএনজি আটক করে।
আটককৃত গাড়িগুলোর চালকদের কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে তারা তা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে গাড়িগুলো মনসুরাবাদ ডাম্পিং-এ পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হলে হালকা যান ফেডারেশনের জিয়া, সুমন ও বাহাদুর, কর্ণফুলী সিএনজি সমিতির সভাপতি হোসেন এবং ফকিন্নির হাট সিএনজি সমিতির সেক্রেটারি রুবেল চালকদের উস্কানি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় অভিযুক্ত আব্দুল কাদের (২৫), মোঃ নাঈম উদ্দিন (২৭), মোঃ তৈয়ব (২৮), জোবাইদুল ইসলাম (২১), মোঃ নাঈম উদ্দিন (২২), মোঃ হানিফ (৩৫), মোঃ আরিফ (২৫), মোঃ জাবেদ (৩৪), মোঃ গিয়াস উদ্দিন (১৯), মোঃ শাহেদ (২৪), মোঃ ইকবাল হোসেন (৩৪), মোঃ ইকবাল হোসেন (২৭), মোঃ আব্দুর রহমান (৫২), মোঃ আব্দুল শুক্কুর (৩৩), মোঃ আব্দুল্লাহ (২০), তানভীর হোসেন (২৪) এবং পলাতক আসামি তৈয়বুল আলম প্রকাশ আঙ্গুর মেম্বার (৫২), সোলেমান প্রকাশ টেম্পু সোলেমান (৫০)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জন দুষ্কৃতিকারী দলবদ্ধভাবে পথরোধ করে।
দুষ্কৃতিকারীরা লাঠি, সোটা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে এবং কনস্টেবল মো: সালাউদ্দিনের মাথা, ডান পা ও হাতে গুরুতর আঘাত করে। পাশাপাশি সার্জেন্ট মো: ইমতিয়াজ শাহরিয়ার ভূঁইয়ার ডান কাঁধসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেতলানো জখম হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা মাটিতে পড়ে গেলে হামলাকারীরা জোরপূর্বক আটককৃত রেজিস্ট্রেশনবিহীন গ্রাম সিএনজি নিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ওয়াহিদুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কর্ণফুলী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে ১৬ জন দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে ১৭টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ৪৩ টি অবৈধ গ্রাম সিএনজি জব্দ করা হয়। সিএমপি কর্তৃপক্ষ জানায়, মহানগর এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় মামলা নং-২৯, তারিখ ২১/১২/২০২৫ খ্রিঃ, ২০১৯ সালের আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনের ৪/৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় ১৮ জন এজাহারনামীয় এবং ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
অপরাধ ঘোষনা aporadhghoshona
