শিরোনাম
Home / রাজনীতি / জামায়াতকে ৭১ সালেই দেশের মানুষ দেখেছে, নতুন করে দেখার কিছু নেই – তারেক রহমান

জামায়াতকে ৭১ সালেই দেশের মানুষ দেখেছে, নতুন করে দেখার কিছু নেই – তারেক রহমান

ঘোষণা ডেস্ক  :জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিভিন্ন গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এতদিন অন্যদের দেখলাম, এবার অমুককে দেখবেন। কিন্তু যাদেরকে দেখার কথা বলা হচ্ছে, তাদের (জামায়াত) দেশের মানুষের নতুন করে দেখার কিছু নেই। তাদেরকে দেশের মানুষ একাত্তর সালেই দেখেছে।

রবিববার(৭ ডিসেম্বর) বিকালে ছাত্রদল আয়োজিত বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে তারেক রহমান এ কথা বলেন। রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনা করেন হাবিব উন নবী খান সোহেল। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলে সেগুলোর উত্তর দেন আলোচকরা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৭১ সালে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে এই গোষ্ঠী লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল, যেমনভাবে অতীতের পতিত স্বৈরাচার ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে গিয়ে হাজারো মানুষকে হত্যা করেছিল। তিনি অভিযোগ তোলেন, এখনও এসব চক্র দেশের রাজনীতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন যারা বলে অমুককে দেখুন, তাদেরকে দেশের মানুষ বহু আগেই দেখেছে; কীভাবে তারা মানুষ হত্যা করেছে, মা-বোনদের ইজ্জত লুট করেছে, এসব ইতিহাস কারও অজানা নয়।

তারেক রহমান অভিযোগ করেন, একটি রাজনৈতিক দলের কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ‘টিকিট’ বা ‘কনফার্মেশন’ দিয়ে বেড়াচ্ছে, যা তার ভাষায় সরাসরি ঈমানবিষয়ক শিরিকের পর্যায়ে পড়ে। তারেক রহমান বলেন, আল্লাহ ছাড়া দোজখ-বেহেশত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দেওয়ার অধিকার কারও নেই। যারা এসব দাবি করছে, তারা মানুষের বিশ্বাসকে বিভ্রান্ত করছে। ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝাতে হবে, এই কথায় কান দিলে ঈমান বিপন্ন হবে।

বক্তৃতায় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বলে আসছি, সামনের সময়গুলো খুব ভালো নয়; কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে এবং তা রুখে দিতে পারে জনগণ ও বিএনপি। তাঁর মতে, এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। জনগণের মতামত প্রতিষ্ঠা করা গেলে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব।

দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, সরকার গঠনের সুযোগ পেলে সবার আগে দুর্নীতি দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তারেক রহমান বলেন, দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলার লাগাম টেনে ধরতে না পারলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী-ক্ষমতায়ন, কৃষিÑ সব পরিকল্পনাই বাধাগ্রস্ত হবে। অতীতে বিএনপি দুর্নীতি কমাতে সক্ষম হয়েছিল দাবি করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও দলটি তা করতে পারবে।

বিএনপি সরকারের আমলে কিছু ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ে সাম্প্রতিক সমালোচনার প্রসঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেনÑ তখন যারা সরকারে ছিলেন, তাদের খালেদা জিয়ার ওপর পূর্ণ আস্থা ছিল বলেই তারা শেষ দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দাবি করেন, স্বৈরাচারের সময় আদালতকে প্রভাবিত করা হলেও বর্তমানে আদালত যথেষ্ট নিরপেক্ষ। সেই আদালতেও বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

দেশ গড়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি দেশকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র বানাতে চায় না; বরং একটি স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছাত্রদল ও জনগণের অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে জানান তিনি। তারেক রহমান বলেন, কঠিন সময় আসবে, অনেক বাধা আসবে; কিন্তু এই দেশের মানুষকে দমিয়ে কেউ রাখতে পারেনি। বাংলাদেশ আবার উঠে দাঁড়াবে।

Check Also

বিয়ে ও তালাকের ডিজিটাল নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে হাইকোর্টের রায়

ঘোষণা ডেস্ক :বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করার নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ …