শিরোনাম
Home / অপরাধ / ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রোজায় ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, আগস্টে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রোজায় ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, আগস্টে মামলা

ঘোষণা ডেস্ক :ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুস সাত্তারের কাছে ইফতারের জন্য চাঁদা চেয়েছেন স্থানীয় দুই সাংবাদিক। এই অভিযোগে প্রায় ৪ মাস পর মঙ্গলবার(১২ আগষ্ট) আখাউড়া থানায় একটি মামলা করেছেন ওসি।

মামলার আসামিরা হলেন– দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি ও আখাউড়া প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বী এবং আরটিভির আখাউড়া প্রতিনিধি মো. সাদ্দাম হোসেন।

ওসি মামলার এজাহারে দাবি করেন, চলতি বছরের ১৬ মার্চ প্রথম দফা ও ২৫ মার্চ দ্বিতীয় দফায় চাঁদা চাইতে তার কাছে যান দুই সাংবাদিক। তবে অভিযুক্তদের দাবি, সম্প্রতি ওসির ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা ঘটনা দেখিয়ে মামলাটি করা হয়েছে।

ওসির অভিযোগ, দুই সাংবাদিক মাসে ৫ হাজার টাকা হারে চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শান্তিতে চাকরি করতে না দেওয়া এবং প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটানোর হুমকি দেওয়া হয় তাকে।

মামলার এজাহারে চাঁদা দাবি ছাড়াও বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যেমূলক সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করে মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। আবদুস সাত্তার গত ১৩ মার্চ আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি হিসেবে যোগ দেন।

এদিকে গত ৪ আগস্ট আরটিভির অনলাইন এবং ৭ আগস্টে দৈনিক আজকের পত্রিকা এবং দৈনিক যুগান্তরে আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে টাকার জন্য যাত্রী হয়রানি এবং অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারতগামী যাত্রীদের হয়রানিতে ফেলে ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায়ের অভিযোগ প্রকাশ পায়।

মামলার বিষয়ে সাংবাদিক মো. ফজলে রাব্বী ও মো. সাদ্দাম হোসেন দাবি করেছেন, প্রতিবেদনে ইমিগ্রেশন পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে এর কোনো রকম তদন্ত না করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার নির্দেশ দিয়েছেন। যে রিপোর্ট হয়েছে, তা শতভাগ সত্য। ওসির টাকা নেওয়ার অনেক প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। মূলত পুলিশের ঘুষ-দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এ মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি শুধু মামলাটি রেকর্ড করেছি। মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এদিকে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে আখাউড়া প্রেসক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠন।

Check Also

অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত:সাংবাদিক নির্যাতনে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!

ঘোষণা ডেস্ক :পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের …