
ঘোষণা ডেস্ক : জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও)। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে এবং ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিধান বিলোপ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) আরপিও নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করার বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। সকালে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়।
পরে সন্ধ্যায় ইসির সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি জানান, সবখানে ‘না’ ভোট নয়, একক প্রার্থী হলে ‘না’ ভোট থাকবে। জোট হলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে; এতে কমিশন অন্যান্য বাহিনীর মতোই সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর সদস্যদের আইন শৃঙ্খলায় নামাতে পারবে।
বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইভিএম ব্যবহার করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। এখন আরপিও থেকে তা বাদ দেওয়া হয়েছে।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএম ব্যবহার হবে না, তাই যাবতীয় বিধান বিলোপ করা হয়েছে আরপিও’র প্রস্তাবিত সংস্কারে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার শাস্তি সুস্পষ্ট করা হয়েছে। ৩কর্মদিবসের তদন্ত ও ব্যবস্থা ইসিকে জানাতে হবে ৩দিনের মধ্যে।
২০০৮ সালে নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান ছিল সব আসনে। পরে নবম সংসদে তা বাদ দেওয়া হয়। এবার ‘না’ ভোটের বিধান চালুর প্রস্তব ছিল সংস্কার কমিশনেরও।
কিন্তু ইসি সব আসনে ‘না’ ভোটের বিধান চালু না করলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা রোধে শুধু একক প্রার্থী থাকলে তাকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে লড়তে হবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। যদি কোথাও একজন প্রার্থী হয় সেক্ষেত্রে বিনা ভোটে নির্বাচিত হবে না। সার্বিকভাবে ‘না’ ভোট নয়। কোনো আসনে একজন প্রার্থী হলে তাকেও নির্বাচনে যেতে হবে, তাকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। সেখানে না ভোট বিজিত হলে পুনরায় ভোট হবে,। আবারও ‘না’ ভোট জয়ী তাহলে আর ভোট হবে না। তখন ব্যক্তি প্রার্থী নির্বাচিত হবে। আরপিও একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত হলে আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকারের সায় পেলে তা সংশোধন অধ্যাদেশ নামে জারি হবে। সেই সঙ্গে ঐকমত্য কশিমনের কোনো সুপারিশ থাকলে তা পরে যুক্ত করা হবে।