
বিশেষ প্রতিনিধি :ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরশাসকের মসনদ ভেঙ্গে তছনছ হলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে দোসররা। এমনই একজন দোসররের সন্ধান মিলেছে জনতা ব্যাংক চট্টগ্রামের লালদিঘি শাখায়। এই দোসর নিজেকে এখনো সিবিএ নেতা পরিচয় দিয়ে সাধারণ কর্মচারীদেরকে জিম্মি করে সুবিধা আদায় করে যাচ্ছে। তার নাম জসীম উদ্দীন, গ্রামের বাড়ী বাঁশখালীতে। তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ কবির চৌধুরী লিটনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
জানা যায়, জসীম উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে জনতা ব্যাংকের লালদিঘি শাখায় কর্মরত। বিধি মোতাবেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ২ বছর পরপর অন্যত্র বদলী করা হলেও জসীম ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ১ যুগের বেশী সময় ধরে একই শাখায় চাকরী করতেছেন। তার বড় ভাই আবু তাহের জিহাদী জনতা ব্যাংকের সিবিএ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি ছিলেন সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি কর্মস্থলে রামরাজত্ব কায়েম করেন। বদলী বাণিজ্য থেকে শুরু করে নানা অনিয়ম-দূর্নীতি করেও পার পেয়ে গেছেন। তার প্রভাবে কর্মকর্তারা ও অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, জসীম দূর্নীতির টাকায় গ্রামের বাড়ীতে নিজের এবং স্ত্রীর নামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন। জনতা ব্যাংকের কর্মচারী হলেও গ্রামের লোকজনের কাছে তিনি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। বড় মেয়েকে ২৫ লক্ষ ব্যয়ে জার্মান পাঠিয়েছেন। প্রভাব খাটিয়ে পার্শ্ববর্তী অসহায় মানুষের অনেক জায়গা দখল করেছেন।
ব্যাংকের কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জসীম শান্ত স্বভাবের হলেও তার ভেতরের চরিত্র অন্যরকম। লোন পাইয়ে দিবে বলে অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেন তিনি। আগে শ্রমিকলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও এখন মুখোশ পাল্টে শ্রমিকদলের নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন।
জানতে চাইলে জসীম উদ্দীন বলেন, তিনি সিবিএ’র সাথে সম্পৃক্ত হলেও কখনো কোন ধরনের প্রভাব বিস্তার করেনি। বেতন ছাড়া বাড়তি কোন সুযোগ সুবিধা নেন না। বাড়ীতে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ ছাড়া তেমন কোন জায়গা-জমি নেই উল্লেখ করলেও মেয়েক জার্মান পাঠানোর অর্থের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
★আগামী পর্বে প্রকাশিত হবে ব্যাংকে অনুপস্থিত থেকে অন্য একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরী করে জসীম কিভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করতেন সেটার বিশেষ প্রতিবেদন।