শিরোনাম
Home / চট্টগ্রাম / চট্টগ্রামে গভীররাতে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষ

চট্টগ্রামে গভীররাতে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক :চট্টগ্রামে এক শিক্ষার্থীকে ধরে পুলিশে দেওয়ার জেরে চট্টগ্রাম নগরীতে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কর্মীরা।

সোমবার(২১ জুলাই) গভীর রাতে চকবাজার গুলজার মোড়ের কাছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৩জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২০ থেকে ২২জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ৩ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এক যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে মূলত সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা উক্ত যুবককে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতে যায়। ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তার প্রতিবাদ করলে থানা প্রাঙ্গণে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করলে দুই পক্ষ সড়কে অবস্থান নেয়।

পরে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় বেশকিছু বিস্ফোরণের শব্দ শোনারও দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

দুই ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা চকবাজার থানা, গুলজার মোড় এবং প্যারেড মাঠের আশেপাশে অবস্থান নিয়ে ছিল। পুলিশ উভয়পক্ষের কর্মীদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে দুই পক্ষ এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলমের ভাষ্য, ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল মহসিন কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। জামায়াত-শিবির কর্মীরা তাকে নিজেদের কর্মী দাবি করে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

সাইফুল বলেন, ছাত্রলীগের দখলে থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া আরিফ। পটপরিবর্তনের পরও তিনি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত আছেন।

“সোমবার রাতে আরিফকে চকবাজার এলাকায় পেয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। শিবির কর্মীরা তাকে নিজেদের কর্মী দাবি করে ছাড়িয়ে নিলে আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।”

এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবির নিজেদের ফেইসবুক পেইজে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে, চকবাজার এলাকায় ছাত্রদল-যুবদলের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ছাত্রশিবিরের তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ২২ জন আহত হয়েছে।

আরিফকে নিজেদের কর্মী দাবি করে চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সম্প্রতি বহিষ্কৃত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশার অনুসারীরা চকবাজার এলাকায় ভ্যানগাড়ি থেকে চাঁদাবাজি করতে গেলে স্থানীয়দের নিয়ে আরিফ চাঁদাবাজদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

ওই ঘটনার ক্ষোভে বাদশার আনুসারীরা আরিফকে একা পেয়ে ‘ছাত্রলীগ ট্যাগ’ দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনা জানতে পেরে আরিফের সহপাঠী এবং ছাত্রশিবিরের নেতারা তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে এমদাদুল হক বাদশার নেতৃত্বে যুবদল ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা ভারী ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মহসিন কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ধরে সোমবার পুলিশে দেয় ছাত্রদলের কর্মীরা। তাকে ছাড়িয়ে আনতে শিবিরের নেতাকর্মীরা সেখানে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। রাত দুইটা পর্যন্ত শিবির ও ছাত্রদলের কর্মীরা নগরীর চকবাজার এলাকার দুইদিকে অবস্থান নিয়েছিল।

নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ কমিশনার আলমগীর হোসেন জানান, দুইপক্ষের মধ্যে সমস্যার পর তাদের শান্ত করার চেষ্টা করা হয়।

Check Also

চট্টগ্রামে ৭০ অবৈধ যানবাহন আটক, ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তা মাথায় এলাকায় ৭০টি অবৈধ যানবাহন আটক করে মামলা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের …