
নিজস্ব প্রতিবেদক :চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সবুজ চট্টগ্রাম গড়তে শিক্ষার্থীদের সচেতন ভূমিকা অপরিহার্য। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। এ শহর আমার একার নয়, আমাদের সকলের। বৃহস্পতিবার (২২ মে) হোসেন আহম্মদ চৌধুরী সিটি কর্পোরেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান এবং বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন আহমদ, চসিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার, অধ্যক্ষ এস এম এহাছান উদ্দিন, শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, জমির উদ্দিন নাহিদ, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল এবং উপালী বড়ুয়া।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। প্রযুক্তির এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালো খারাপ দুটিই রয়েছে। ভালো দিকগুলো গ্রহণ করে খারাপ দিকগুলো বর্জন করতে হবে। যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার আহ্বান জানান তিনি। কিশোরেরা যেন কিশোর গ্যাং হয়ে সমাজের জন্য হুমকী হয়ে না উঠে সেইদিকে বিশেষ নজর রাখতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি । মাদক এবং নারীর প্রতি ইভ টিজিং প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দেন মেয়র।
মেয়র আরো বলেন, ১৬ বছর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে করতে ছাত্র-জনতা অসীম ত্যাগের বিনিয়োগ অবশেষে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে। নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে দেশপ্রেমের বিকল্প নেই। স্কুল ভবনের নামফলক তিনি ব্যক্তিগত খরচে তৈরি করে দিবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্কুলের নতুন আসবাবপত্র দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
টার্ফে গিয়ে যেন কোনো শিশুকে টাকা দিয়ে খেলতে না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ৪১টি ওয়ার্ডেই খেলাধুলার জন্য মাঠ তৈরি করবো। ইতোমধ্যে ৬টি মাঠের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে, বাকীগুলোও ধাপে ধাপে করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান আমরা ময়লা যেখানে সেখানে ফেলবো না, ডাস্টবিন ব্যবহার করব—এটাই সচেতন নাগরিকের পরিচয়।
এসময় তিনি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং এইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন।