
ঘোষণা ডেস্ক :বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপির কি এতো আকাল পড়েছে যে আওয়ামী লীগ থেকে সদস্য আমদানি করতে হবে? যেই আওয়ামী লীগের ডিএনএ’তে গণতন্ত্র নেই, তাদেরকে কেন আহ্বান করতে হবে বিএনপির সদস্য হওয়ার জন্য? ৫ আগষ্ট বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ইতিহাসের জগন্যতম গণহত্যাকারী। তাদের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আজ পর্যন্ত তারা নিজেদের অপকর্মের জন্য কোন অনুশোচনা করেনি বা ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। উল্টো তারা গণঅভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দুষ্কৃতকারী বলে আখ্যয়িত করছে। তারা কি ভাবে বাংলাদেশ রাজনীতি করতে পরবে?
সোমবার (১৯ মে) বিকেলে সিলেট নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে সিলেট বিভাগে বিএনপির নতুন সদস্য সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে দেশের একনায়কতান্ত্রিক সংবিধান বাকশালকে বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সংযুক্ত করে মহান আল্লাহ তাআলার উপর অবিচল আস্তা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি দেশের সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সকলের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করে সকল মানুষের ধর্মীয় চর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন এদেশে ধর্ম-বর্ণ, ভাষা ও জাতির ভিত্তিতে বিভক্তি হবে না, সবাই বাংলাদেশী। দেশকে নতুন করে গড়ার মুহূর্তেই তিনি কুচক্রী মহলের হাতে শাহাদাত বরণ করলেন। কিন্তু তিনি বেঁচে রইলেন দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে। বিএনপি জনগনের দল। বিএনপি থাকলে দেশের সাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে, বিএনপি দুর্বল হলে বাংলাদেশ দুর্বল হবে। বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হতনা, বিএনপি সুসংগঠিত না থাকলে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হত না, তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু হতো না। তাই বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার।
সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, তারেক রহমান ২০২৩ সালেই রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা জানতাম, একদিন নিষ্টুর ভাবে ফ্যাসিবদের পতন হবে। যারা দেশের জনগনকে হত্যা করেছে, পঙ্গু করেছে, গুম, অপহরন করেছে তাদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ যেন কোন দিন আর স্বৈরশাসকের উৎপাদন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আলহাজ্ব জি কে গউছের সভাপতিত্বে ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম. রাসেদুজ্জামান মিল্লাত।
এছাড়াও অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড.এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী ও এম.এ মালিক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার।
সিলেট জেলা ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা নুরুল হকের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সূচিত সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে দায়িত্বে) তারিকুল আলম তেনজিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম. নাসের রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক ফজলুল করিম ময়ুন, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা ও মহানগর, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন সহ সিলেট বিভাগের সকলা উপজেলা, পৌর এবং সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।