
নিজস্ব প্রতিবেদক :চট্টগ্রামে আলোচিত জোড়া খুন মামলার আসামি এবং ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে (ডিটেনশন) ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১১ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালত বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২(এফ) ও ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে তাকে আটক রাখা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ মাসুদ হাসান জুয়েল।
এর আগে শনিবার (১০ মে) রাতে নগরীর বহদ্দারহাট বারইপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা-পুলিশ। তবে তার আইনজীবী জামিন সংক্রান্ত কাগজ দেখানোর পর প্রাথমিকভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে বায়েজিদ থানার ডিটেনশন আদেশের ভিত্তিতে তাকে ফের আটক করা হয়।
তামান্না চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার মাঝিরঘাট রোডের বাসিন্দা মো. শফি মাঝির মেয়ে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জোড়া খুন মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাকলিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তামান্না অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি আত্মসমর্পণ না করায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। পরদিন তার আইনজীবী নিম্ন আদালতের একটি নির্দেশনা দেখান, যাতে বলা হয় ১৫ মে জামিন শুনানির আগ পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার না করতে। সে অনুযায়ী আমরা তাকে ছেড়ে দিই, তবে অন্য থানার ডিটেনশন থাকায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।’
তবে বায়েজিদ জোনের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘তামান্নার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া খুনের মামলায় তিনি উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে জামিনে আছেন। তাই মামলাটিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।’
গত ২৯ মার্চ রাতে বাকলিয়া এলাকায় সাজ্জাদের অনুসারীদের গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহত এক যুবকের মা বাদি হয়ে সাজ্জাদ, তার স্ত্রী তামান্নাসহ সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় একজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকায় আলোচিত মডেল ও মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলমকেও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।