
ঘোষণা ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীর ডোমরাখালী চরে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৯টার মধ্যবর্তী সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
পদ্মা সেতু (উত্তর) থানার ওসি জাকির হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেন। এ ছাড়াও, মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ঘটনার পর দিন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে পদ্মা সেতু উত্তর থানায় চার জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলা রেকর্ডভুক্ত করে।
পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে লৌহজং উপজেলার যশলদিয়া কুতুপখোলা এলাকা থেকে মামলার এজাহারনামীয় আসামি জামাল মোল্লাকে (২৩) প্রথমে ও পরে ইয়ামিন মুন্সী (১৯) ও জব্বার শেখকে (১৮) গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর পর তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আবু বক্কর সিদ্দিক নামে একজন পলাতক রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ভুক্তভোগী পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট থেকে তার স্বামীর বাড়ি উত্তর চর জানাজাতে যাওয়ার উদ্দেশে ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করার সময় অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিক ও জামাল মোল্লা তাকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ট্রলারে ওঠায়। পথিমধ্যে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন মুন্সী (১৯) ও জব্বার শেখ (১৮) ট্রলারে ওঠে। ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক জনমানবহীন পদ্মা নদীর ডোমরাখালী চরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে অভিযুক্তরা মাওয়া পুরাতন কোস্টগার্ড স্টেশনের পাশে ভুক্তভোগীকে রাত ৯টার দিকে ট্রলার থেকে নামিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে দ্রুত চলে যায়।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার তিন জনের কাছ থেকে দুটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয় এবং পরীক্ষার জন্য সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। মামলার ঘটনায় ব্যবহৃত নৌকা জব্দ করা হয়। ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয় মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও পলাতক আসামি গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।