
নিজস্ব প্রতিবেদক :চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার ওসি ও পুলিশের তিন এসআইসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার(১১ ফেব্রুয়ারী) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন মামুন আলী ওরফে কিং আলী নামে এক বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা।
মামলার আসামিরা হলেন পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ, এস আই মানিক ঘোষ, বন্দর থানার এস আই আসাদুল হক, কিশোর মজুমদার, এস এস ট্রেডিংয়ের মালিক সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্যবস্থাপক আরিফ মঈনুদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মো. আমান ও সুপারভাইজার দিদার হোসেন সজিব।
এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নগরের বন্দর এলাকার জিএইচ এন্টারপ্রাইজ থেকে গত বছরের ১০ অক্টোবর ২০ হাজার টন পাথর কেনেন মামুন আলী। পাথরের দামের ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন তিনি। পরে নগরীর পাহাড়তলীর টোল রোডের কিং আলী গ্রুপের ডিপোতে পাথরগুলো এনে রাখেন। একই বছরের ১৭ অক্টোবর অভিযুক্তরা ডিপোর কার্যক্রমে বাধা দেন। প্রতিবাদ করলে পাহাড়তলী থানার এসআই মানিক ঘোষ ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
সন্ধ্যায় বাদী ওসির কাছে গেলে পাথর কেনার রসিদ ও তার সব জায়গার মূল্য ১০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে ১ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।
একই সঙ্গে বাদীর করা আগের একটি মামলা থেকে হালিশহর থানার সাবেক ওসি প্রণব চৌধুরীর নাম বাদ দিতে বলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে থানায় আটক রেখে তিন পুলিশ সদস্য মারধর করেন। পরদিন তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
কারাগারে থাকা অবস্থায় তার ডিপো থেকে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার পাথর, মাটি, ১০ লাখ টাকার স্কেলসহ ডিপোতে রাখা বিভিন্ন মালামাল অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা লুট করে নেন বলে মামলায় দাবি করেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা কিং আলী।