
ঘোষণা ডেস্ক :রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ না বানাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, একজন উপদেষ্টা যখন বলেন ‘রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য কাজ করছে’, এটা অত্যন্ত ঘোরতর অভিযোগ। আমি তীব্রভাবে এর নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ করছি এবং আমি মনে করি যে, এই ধরনের উক্তি তার প্রত্যাহার করা উচিত।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনায় তিনি এসব বক্তব্যের পাশাপাশি বলেছেন, একাত্তরকে ভুলে গেলে চলবে না। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে এই আয়োজনে ফখরুল এই দিবসগুলোকে অবহেলা না করে জানার চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, আমি মনে করি যে, দয়া করে রাজনৈতিক দলগুলোকে বা রাজনীতিকে আপনাদের প্রতিপক্ষ বানাবেন না। রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদেরকে সহযোগিতা করছে। আপনি যদি বলেন যে, এটা ব্যর্থ করার জন্য কাজ করছে, আমরা হাজার বার বলেছি, আমাদের চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা বলেছি, এই সরকার হওয়া ব্যর্থ হওয়া মানে জনগণ ব্যর্থ হয়ে যাবে, আমরা ব্যর্থ হয়ে যাব। তাহলে এই রকম কথা কেন বলবেন আপনি?
বর্তমান সময়টাকে ‘কঠিন’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হলে পেছনে পড়তে হবে, পড়তে হবে খাদে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ভারতে আশ্রয় নিয়ে সে দ্রুত কাজ করছে, সে লন্ডনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটা মিটিংও করেছে এর মধ্যে ডিজিটালি। আওয়ামী লীগ অনেক ‘অপপ্রচার’ ও ‘মিথ্যাচার’ করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আপনাদেরকে গণতন্ত্রের পক্ষে, জনগণের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জবাব দিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ‘অবহেলা করার চেষ্টা চলছে’ বলেও মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেন বিকৃত না করি। ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার অনুরোধ থাকবে, এই দিবসগুলো আপনারা অবহেলা করবেন না, জানার চেষ্টা করবেন।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র মানে এই নয় যে, আওয়ামী লীগ করলে তাকে গলা কেটে ফেলো আর বিএনপি করলে তার মুণ্ড ছেদ করো। তাহলে সেটা কিন্তু গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্র হচ্ছে পরমত সহিষ্ণুতা। তোমার কথা বলার অধিকার আছে, আমার বিরুদ্ধেও কথা বলার অধিকার আছে। আমি সেটাকে রক্ষা করব, এটাই হচ্ছে গণতন্ত্র।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।