ঘোষণা ডেস্ক :চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ বলেছেন, বিপর্যয়ের পর পুলিশের মধ্যে ট্রমা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। তবে অনেকটা উন্নতি হয়েছে। এখন পুলিশের মনোবল চাঙা করতে আরও দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ বলেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ১০৯ থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, আপনারা কোনো দল প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নয়, জনগণের ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দেশের সেবা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশ কখনো সফল হতে পারেনি, পারবেও না। আপনারা গোপনে পুলিশকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। অস্ত্র উদ্ধারসহ আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করে পুলিশ আপনাদের নিরাপদ এলাকা উপহার দেবে।
অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে ডিআইজি বলেন, নোয়াখালীতে অস্ত্রের চালান চট্টগ্রাম থেকে এসেছে। তবে চট্টগ্রামের পুলিশ সফল না হলেও নোয়াখালীর পুলিশ সফল হয়েছে। এজন্য নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুকসহ বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিবকে ধন্যবাদ জানাই।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোরের দিকে নোয়াখালীর সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র-গোলাবারুদসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, আটটি এলজি, চারটি একনলা বন্দুক, ৯টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১২ কেজি গাঁজা ও দুটি পিকআপ রয়েছে। এ ঘটনায় সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ থানায় মামলা হয়েছে।
ডিআইজি আহসান হাবিব জানান, এ ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি অস্ত্রের উৎসসহ জড়িত পুরো চক্রের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিবসহ বিভিন্ন থানার ওসিরা উপস্থিত ছিলেন।