নিজস্ব প্রতিবেদক :মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাঁদাবাজি, মালামাল চুরি ও মাদকদ্রব্য কারবারের মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সহকারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলফাজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে।
কোলপাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির অধীনে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ আলফাজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে দামী ক্যাবল চুরি, বিভিন্ন ঠিকাদারের নিকট থেকে চাঁদাবাজি ও তার ভাগিনাকে দিয়ে মাদকদ্রব্য বিক্রির মত গুরুতর অপরাধ মূলক কর্মকান্ড এখন অনেকটা দৃশ্যমান। স্থানীয় কিছু ঠিকাদারকে সর্বহারা করার মত অভিযোগও পাওয়া গেছে সিপিজিসিবিএল এর সিকিউরিটি সহকারী মোহাম্মদ আলফাজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, আলফাজ উদ্দীন নিজেকে সাবেক নেভি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিলেও কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তিনি সহকর্মীদের মধ্যে সবসময় প্রভাব বিস্তার করে দাপটের সাথে কাজ করেন। বিভিন্ন টিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে উক্ত কাজ নিজের লোকদেরকে দিয়ে দেন। কেউ প্রতিবাদ করলে নানাভাবে হয়রানির হুমকি দেন। গেটপাস নিয়েও তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ পাহাড়সম।
গোপনসূত্রে জানা যায় বিভিন্ন দূর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা দিয়ে ঢাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, কুষ্টিয়ার নিজ গ্রামে নামে-বেনামে অঢেল সম্পদ ও নিজের নামে বিলাসবহুল গাড়ী ক্রয় করেছেন। নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান আফতাব উদ্দীনের ছেলে আলফাজ এলাকায় বর্তমানে কোটিপতি হিসেবে পরিচিত। একসময় দারিদ্র্যতা নিয়ে বসবাস করলেও বর্তমানে বিলাসী জীবন যাপন করতেছেন। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরী করার পর থেকে জীবনের মোড় ঘুরে গেছে বলেও জানান তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ভুক্তভোগী বলেন মাতারবাড়ীর মুহাম্মদ ইয়াছিন নামে স্থানীয় একজন ঠিকাদার থেকে কৌশলে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আলফাজ, যার ফলে উক্ত ঠিকাদার দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবেক এক কর্মচারী বলেন, আলফাজ উদ্দীন তার চোরাই পণ্য ও মাদকদ্রব্য বিক্রির খবর জানাজানি হলে তা প্রকাশ না করার জন্য তাকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিতেন নিয়মিত।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলফাজ উদ্দীন বলেন, আমি নৌবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। কোন দূর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত নই। কতিপয় অসাধু ঠিকাদার আমার কাছে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে আ
তার এসব দূর্নীতির বিষয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রজেক্ট ডাইরেক্টরের কাছে জানতে চাইলে তিনি আলফাজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে বলে আশ্বাস দেন।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে সিপিজিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আলফাজের এইরকম অনিয়ম-দূর্নীতি সম্পর্কে আমি অবগত নই। প্রকল্পের চীফ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আলাপ করার অনুরোধ করেন তিনি।
প্রকল্পের চীফ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।