শিরোনাম
Home / অপরাধ / বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানকে মর্মান্তিকভাবে খুন: শিশু রাফির মাথা বিচ্ছিন্ন

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানকে মর্মান্তিকভাবে খুন: শিশু রাফির মাথা বিচ্ছিন্ন

ঘোষণা ডেস্ক : বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় ‘শুভেচ্ছা’ হোটেলে হত্যাকাণ্ডের শিকার আশামনির (২০) মরদেহ বাথরুমে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে ছিল। তার এক বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাফির বস্তায় ভরা মাথাবিহীন মরদেহটি রাখা ছিল খাটের নিচে। বর্তমানে করতোয়া নদীতে শিশুটির মাথার খোঁজ করছে পুলিশ। তাকে হত্যার পর বিচ্ছিন্ন মাথা নদীতে ফেলে দেন বাবা আজিজুল হক।

পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে রোববার (২ জুন) বেলা ১১টার দিকে শহরের শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে গলাকাটা মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

এই জোড়া খুনের ঘটনায় আজিজুল হক নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি নিহত নারীর স্বামী এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত। তার বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়ায়।

শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

নিহত আশামনির ভাই শহরের নারুলী এলাকার বাসিন্দা মেহেদি হাসান সনি জানান, সেনাসদস্য আজিজুল হকের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়। ২ মাসের ছুটি নিয়ে আজিজুল কিছুদিন আগে বগুড়ায় আসেন। এরপর বৃহস্পতিবার (৩০ মে) শহরের নারুলি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। পরে বেড়ানোর কথা বলে আজিজুল হক তার বোন ও ভাগ্নেকে নিয়ে শনিবার (১ জুন) বেরিয়ে পড়েন।

শুভেচ্ছা হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর আজিজুল হক তার স্ত্রী ও এক বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে দোতলার একটি কক্ষে ওঠেন। রাত ১১টার দিকে তিনি হোটেল থেকে বের হয়ে যান। পরে আজ বেলা ১১টার দিকে হোটেলের ভাড়া পরিশোধ করতে আসেন। কিন্তু তখন তার সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান না থাকায় সন্দেহ হয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে ওই কক্ষ থেকে আজিজুল হকের স্ত্রীর মরদেহ ও শিশুটির বস্তাবন্দি মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে।

শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, সেনাসদস্য আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দাবি, সন্তানের মাথা পাশের করতোয়া নদীতে ফেলে দিয়েছেন। শিশুটির মাথা খোঁজা হচ্ছে।

নিহত আশামনির ভাই মেহেদি হাসান জানান, তার বোনের সঙ্গে ভগ্নিপতি আজিজুল হকের দাম্পত্য কলহ ছিল। তার ধারণা দাম্পত্য কলহের কারণেই তার বোন ও ভাগনকে খুন করা হয়েছে।

বিয়ের সময় তারা ভগ্নিপতিকে মোটা অংকের টাকা যৌতুক হিসেবে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও নানা অজুহাতে আজিজুল হক টাকা চাইতেন বলে জানান তিনি।

Check Also

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-জামায়াতের ২১ প্রার্থীই জয়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে ২১ প্রার্থীই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনী কার্যক্রমে ২১ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *