শিরোনাম
Home / জাতীয় / ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ১৬ জনের মৃত্যু , প্রায় ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত  

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ১৬ জনের মৃত্যু , প্রায় ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত  

ঘোষণা ডেস্ক :ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে দেশের ৭ জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় ও এর আশপাশের ১৯টি জেলায় প্রায় পৌনে ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৩৩৮টি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮টি ঘরবাড়ি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো–অর্ডিনেশন সেন্টারের দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনে বুধবার(২৯ মে) এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে খুলনা জেলায়। এই জেলায় ২০ হাজার ৭৬২টি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। বাগেরহাটে বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজার ঘরবাড়ি। বাকিগুলো বিভিন্ন জেলায়।

দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এই ঝড়ে দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়ে উপকূল ও আশপাশের ১৯ জেলা। এগুলো হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর। এর মধ্যে মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটেছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, চট্টগ্রাম ও পিরোজপুরে।

গত রোববার রাতে বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এই ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে উপকূলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উপকূলের ৬ জেলার ১৫টি উপজেলায় ৬৯ হাজার ৭৮৮ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া মাছ চাষের অবকাঠামো পুকুর, ঘের ও স্লুইসগেট ধ্বংস হয়েছে তিন হাজার ৬৩৫টি। নৌযান, ট্রলার ও জলযান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৪১টি। সবকিছু মিলিয়ে যার বাজার মূল্য দাঁড়ায় ৬৯৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এছাড়া ৫টি ছাগল, ৩টি ভেড়া, চার হাজার ৫৫০টি মুরগি এবং ৪৭টি হাঁস মারা গেছে।

Check Also

১৫ ডিসেম্বর থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট পাবেন প্রবাসীরা: আইন উপদেষ্টা

ঘোষণা ডেস্ক :প্রবাসীদের পাসপোর্ট সমস্যা দ্রুত নিরসনের আভাস দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *