ঘোষণা ডেস্ক : র্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ‘‘কুকি-চিনের যারা বিপথে গেছে তারা আত্মসমর্পণ করলে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে। এর আগে জলদস্যুদেরও পুনর্বাসন করা হয়েছিল। তারা যতক্ষণ শান্তির পথে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’’ বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবান সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘‘পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে। আমাদের দেশে কোনো সশস্ত্র সন্ত্রাসী থাকতে পারবে না।’’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘‘তাদের আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। তারা ইচ্ছে করলে শান্তি কমিটির সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসতে পারবে। অথবা জেলা প্রশাসক কিংবা পুলিশ সুপারের মাধ্যমেও আলাপ-আলোচনায় বসার সুযোগ রয়েছে।’’
যৌথ অভিযানে বম সম্প্রদায় হয়রানির শিকার হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটা ঠিক বলছেনা, এটা সরকারও চাচ্ছেনা, আমরাও চাচ্ছিনা।’’
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্) কর্নেল মোঃ মাহাবুব আলম, বিজিবি বান্দরবান সেক্টর সদর দপ্তরের কর্নেল সোহেল আহমেদ, ডিজিএফআইয়ের কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ জামশেদ, র্যাবের পরিচালক (এয়ার উইং) লেফটোন্যান্ট কর্নেল মীর আসাদুল আলম, র্যাবের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ উইং) কর্নেল আবু নাঈম মোঃ তালাত, র্যাবের পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেঃ কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, কক্সবাজারের র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৫ অধিনায়ক লেফটোনেন্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, বান্দরবান-৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের মেজর হাসনাত ফেরদৌস, বান্দরবান এএসইউ এর লেফটোনেন্ট কর্নেল ফয়সাল ফাহাদ, বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উম্মে কুলসুম।