ঘোষণা ডেস্ক :চেক প্রতারণা মামলায় অন্যজনকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবলু মিয়া (৪০)। হিসাবধারীর স্বাক্ষর- সিল জাল করে চেক জাল জালিয়াতির মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
কারাগারে যাওয়া অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া সীতাকুণ্ড থানার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মো. বাদশা মিয়ার পুত্র।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের মে মাসের ২৩ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে এই আসামির বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন বাদী মহিউদ্দিন আহম্মদ। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামির বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম জেলাকে নির্দেশ দেন আদালত।
একই বছর নভেম্বর মাসে চেক জালিয়াতির ঘটনা সত্যতা পায় মর্মে রিপোর্ট দাখিল করেন পিবিআই। পিবিআই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন আদালত। আজ (বৃহস্পতিবার) ঐ ইউপি সদস্য আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত দুই-তরফা শুনানি শেষে তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণে নির্দেশ দেন আদালত।
বাদী পক্ষের প্রধান আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান বলেন, আসামির বিরুদ্ধে চেক জাল জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন মহিউদ্দিন আহম্মদ নামে এক ব্যক্তি। রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরবর্তী ২১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য ছিল। আসামি আত্মসমর্পণপূর্বক জামিন আবেদন করেন। দুই-তরফা শুনানি শেষে তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে আসামি মহিউদ্দিন এই মামলার বাদীর বিরুদ্ধে চেকের মামলা করেন। বলা চলে, চেক প্রতারণা মামলায় অন্যজনকে ফাঁসাতে নিজেই ফেঁসে গেলেন। বাদীর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব হওয়া সত্ত্বেও মনগড়া ভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ‘এম.এম ট্রেডিং’ নামে জাল সিল বানিয়ে এই বাদীর স্বাক্ষর জাল করেছিল আসামি।