ঘোষণা ডেস্ক : ৭ জানুয়ারি সঠিক নির্বাচন হয়নি, এটি সরকারের ইচ্ছানুযায়ী একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, এই সরকারকে কেউ বিশ্বাস করবে না, সরকারের গ্রহণযোগ্যতা যেটা ছিল, সেটাও থাকবে না।
সোমবার(৮ জানুয়ারি) দুপুরে জি এম কাদের গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের গতকাল রোববার ভোটের পর নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। ভোটের পর প্রতিক্রিয়া না জানালেও আজ সকালে রংপুরে জি এম কাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, ২-৩ দিন পরে ঢাকায় ফিরবেন। তখন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
পরে মুঠোফোনে জি এম কাদের বলেন, কোথাও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, আবার কোথাও কোথাও ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে সরকারের ইচ্ছানুযায়ী ঢালাওভাবে অনিয়ম হয়েছে। আগে থেকে নির্ধারণ করা ছিল, কাকে পাস করানো হবে। অর্থাৎ, নির্বাচনটা সরকার নিয়ন্ত্রণ করেছে। আগে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, এটাও সে রকম।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, নির্বাচন আগের মতো হবে না। কেন্দ্র জবরদখল হবে না, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে, সেটা পাইনি।
ভোট চলাকালে দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সব সময় আমাদের আশঙ্কা ছিল যে নির্বাচনে নিয়ে এসে আমাদের কোরবানি করা হবে। কোরবানি করে নির্ভেজাল, একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হবে। এসব আশঙ্কা সত্যি হয় কি না, তা বিকেল হলেই বোঝা যাবে।’
সংসদে বিরোধী দল কে হবে এমন বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, সেটা আমি জানি না। তবে আইন অনুয়ায়ী যা হওয়ার, তা–ই হওয়া উচিত। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একটি বড় অংশ জয়ী হয়েছে। এরপর আমরা (জাপা) আছি। স্বতন্ত্ররা তো দলীয় না। স্বতন্ত্র দিয়ে তো কোনো বিরোধী দল হয় না, তাঁদের দলে যোগ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ৫টি হোক ১০টি হোক, নৌকার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত লাঙ্গল আছে, এ পর্যন্তই জানি। আমরা সংসদে যেতে চেয়েছি, যে কয়টা হোক পেয়েছি। তবে নির্বাচন ভালো হয়নি। এখন আমরা বসব পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য।
জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ যে ২৬টি আসনে নৌকার প্রার্থী দেয়নি, সেটা তাদের পছন্দে হয়েছে। এই তালিকার অনেকে আমাদের দল থেকে বহিষ্কৃত। রংপুর ছাড়া দুই-এক জায়গায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, সেটা সরকারের ইচ্ছানুযায়ী। বাকিগুলোতে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে, ছাড় দেওয়া হয়নি।