
ঘোষণা ডেস্ক: ‘বাংলাদেশের অনেক কিছুর সাথেই বিদেশি বন্ধন-ইন্ধন এগুলো আছেই। কোনো বিশেষ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। দেশে জ্বালাও পোড়াও হচ্ছে কেন বিদেশিরা কথা বলছে না- এটা আপনাদের মতো আমারও প্রশ্ন।’
বুধবার (২৯ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় এ মন্তব্য করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বাধা দেয়ার ব্যাপারে দেশে বিদেশে কত কথাই শুনেছিলাম এখন তারাই বাধা দিচ্ছে। প্রকাশ্য তারা নির্বাচনে বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারাই তো বলেছিল যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করবে, সন্ত্রাসী করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এখন তারা চুপ কেন?
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে যারা সুশীল সমাজ মানবাধিকারের প্রবক্তা, তারা প্রতিনিয়ত মানবাধিকার গণতন্ত্র ও সরকারের সমালোচনা করে গ্রেপ্তার হয়েছে এই সব নিয়ে। পুলিশকে মেরেছে তাকে গ্রেফতার করবে না? যারা গাড়ি পোড়াচ্ছে প্রকাশ্যে ধরা পড়ছে তাদের কি বিচার হবে না?
সেতুমন্ত্রী বলেন, একটি পক্ষ নিজেরাই নির্বাচনের বাইরে রয়েছে। কেউ তাদের বাইরে রাখেনি আমরা গতকাল পর্যন্ত অনুরোধ করেছি। আমরা বারবার বলে যাচ্ছি, আমরা চাই না কেউ নির্বাচনের বাইরে থাকুক। নির্বাচন যারা বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের ব্যাপারে কেন নীরব, এখনতো কেউ কিছু বলে না। ইউরোপও কিছু না, আমেরিকাও কিছু বলে না।
আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাধা দিচ্ছে, প্রতিনিয়ত অগ্নিসংযোগ করছে; যারা মানবাধিকার ও বাংলাদেশে সুশাসন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে, তারা কেন এখন নীরব?
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ওয়াশিংটনে কি এখানকার খবর পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে? ব্রাসেলসে পৌঁছাতে কি দেরি হচ্ছে? এখানে লুকানোর কিছু নেই সব কিছুই পরিষ্কার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।