ঘোষণা ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গতকাল সমাপ্তি ঘটেছে নিশিরাতের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে গঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের। মোট ২৭২ দিনের কার্যদিবসে এ সংসদকে আওয়ামী দলীয় আড্ডাবাজীর আখড়ায় পরিণত করা হয়েছিল। ৫ বছর ধরে অবৈধ সংসদে যে ১৬৫টি বিল পাস করেছে তার প্রায় সবই গণবিরোধী।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জনগণের রাজপথ কাঁপানো আন্দোলন, দেশের ৯৫ শতাংশ জনমত এবং জাতিসংঘসহ গোটা বিশ্বের আহ্বান উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা আবারও আরেকটি এক তরফা পাতানো নির্বাচন আয়োজনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আওয়ামী নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী দলদাস পুলিশ ও আওয়ামী দলদাস প্রশাসন সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিরোধীদল-মত উচ্ছেদ করে পুরোনো কায়দায় নতুন কোনো ফর্মুলায় ভোটরঙ্গ নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা সারাদেশ থেকে খবর পাচ্ছি, বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে তথাকথিত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার বাড়াতে নতুন এক অভিনব কদর্য মিশনে নেমেছেন শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় দুই কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় প্রশাসন। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায়, প্রতিটি উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর হতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রত্যক্ষ ও পরেক্ষভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত এবং উপকার ভোগীদের নিয়ে সমাবেশ করছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং নেতারা। প্রতিটি গ্রাম থেকে কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের সমাবেশে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির আওতায় সব ধরনের সুবিধাভোগীদের কার্ড ভোটের আগে জমা দেওয়া এবং ভোটকেন্দ্রে ফেরত দেওয়া হবে বলে অধিকাংশ সমাবেশে জানানো হচ্ছে। শেখ হাসিনা ভোটকেন্দ্রে সন্তোষজনক মাত্রায় ভোটার উপস্থিতি এবং ভোট প্রদানের শতকরা হার বড় আকারে বিদেশিদের দেখানোর জন্য এ ভয়াবহ কূটকৌশল নিয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, আমরা খবর পাচ্ছি ভিন্ন স্থানে প্রতিদিন গোপন বৈঠক হচ্ছে, কীভাবে জনগণের সাহসী লড়াই নির্মূল করা যায়। কিন্তু লাভ নেই। কারণ একটি দেশের জনগণ সর্বদায় ‘চির উন্নত মমশির’। জনগণ হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছে। কোনো কিছুতে কিছু হবে না। সময় শেষ। পতন হবেই।