ঘোষণা ডেস্ক : ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের দিন থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপির ৭ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ, ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর অবরোধকে কেন্দ্র করে ৪৬ এর বেশি মামলা হয়েছে। এতে গ্রেফতার হয়েছেন দুই হাজার ২৮০ জনের অধিক নেতাকর্মী। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৫০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
এসব নিহতের ঘটনাকে সরকারের মাস্টারপ্ল্যান বলে দাবি করেন তিনি। রিজভী বলেন, গায়ের জোরে চলছে আওয়ামী দুঃশাসন। তাদের অনাচারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহ। এমনই একটি পরিস্থিতি তৈরি করছেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, ২৮ অক্টোবর দেশবাসী মানুষের মিছিল প্রত্যক্ষ করেছে। এই দৃশ্য সহ্য করতে পারেনি সরকারের পেটোয়া বাহিনী। সমাবেশে মানুষকে লক্ষ্য করে খই ফোটানোর মতো গুলি ছুড়তে থাকে। নিহত-আহত আর গ্রেফতারের নারকীয় দৃশ্যের সূচনা হয়।
বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, সরকার পতনের এক দফা দাবি ও মহাসমাবেশে হামলা এবং দলের মহাসচিবকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিএনপির ৭২ ঘণ্টা অবরোধের আজ প্রথম দিন। শান্তিপূর্ণ এ অবরোধে হায়েনার মতো হামলা চালিয়েছে পুলিশ। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ছাত্রদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ, কৃষকদল নেতা বিল্লাল মিয়া এবং সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার যুবদল নেতা দিলু আহমেদ জিলুকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলনে পুলিশ যে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে, তা কোনো সংঘর্ষ নয়, সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিএনপির নিরস্ত্র নেতাকর্মীদের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ চালাচ্ছে। আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রের মতো নির্বিচারে ও বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করছে গুলি, টিয়ারশেল, লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড।
যানবাহনে আগুন দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চালিয়ে যাচ্ছে আগুন সন্ত্রাস, পুড়াচ্ছে একের পর এক যানবাহন ও স্থাপনা। তাদের লক্ষ্য সবার কাছে পরিষ্কার, নিজেরা দেশবিরোধী অঘটন ঘটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর পাশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন।