বাঁশখালী প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বাঁশখালী। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত নয়টা থেকে এগারোটা পর্যন্ত হামুনের প্রভাবে মাঝারি বৃষ্টিসহ প্রচন্ড বাতাসে বাঁশখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এসময় বাড়িতে গাছচাপায় সরল ইউপির উত্তর সরল গ্রামের কবির আহমদের স্ত্রী মারা গেছেন।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবে বাঁশখালী উপজেলা ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় অন্তত ৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ বাড়ির টিনের চাল বাতাসে উড়ে গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ফসলী জমি ও ক্ষেত-খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড় বড় গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে প্রধান ও অভ্যন্তরীণ সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফায়ার সার্ভিস ও সেচ্ছাসেবকদের তৎপরতায় যা বুধবার দুপুরে কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম রিশু কুমার ঘোষ জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবে বাঁশখালীর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসংখ্য জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমাদের লোকজন সকাল থেকে মাঠে কাজ করছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দীন পিপিএম জানান, ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ রাত থেকেই মাঠে রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে কেউ কারো ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবে বাঁশখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরলে গাছচাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সেচ্ছাসেবক টিম মাঠে কাজ করছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।