ঘোষণা ডেস্ক : হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথা বলতে গিয়ে নেতাকর্মীদের সামনে কেঁদে ফেললেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত (শনিবার) রাতে হাসপাতালে ম্যাডামকে দেখতে গিয়েছিলাম। তাকে যেমনটি দেখেছি, এমন অবস্থা আগে দেখিনি। ম্যাডামের এমন চেহারা আর কখনো দেখিনি। চেয়ারপারসন অনেক বেশি অসুস্থ। এ কথা বলতেই ডুকরে কেঁদে উঠেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেছেন আপনাদের কিছু করার থাকলে করেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। অবিলম্বে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে না পারলে বাঁচানো দুষ্কর হবে।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। অন্যথায় কোনো অঘটন ঘটলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে ফুসফুস থেকে পানি অপসারণ করে দেড় ঘণ্টা পর আবারও কেবিনে নেওয়া হয়। এখন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় দলীয় প্রধানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বিএনপি।
লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ৭৮ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জীবন রক্ষার্থে মানবিক কারণে দ্রুত বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবি জানিয়েছে দলটি।
এর আগেও গত ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় পাঁচ দিন পর তিনি বাসায় ফেরেন। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন।