শিরোনাম
Home / অপরাধ / ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য মজুত: চট্টগ্রামে কারখানা ম্যানেজার গ্রেফতার

ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য মজুত: চট্টগ্রামে কারখানা ম্যানেজার গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য অবৈধভাবে মজুত ও প্রক্রিয়াজাত করার অভিযোগে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোমানা আকতার বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে চান্দগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন খাজা ট্রেডিং (ইউনিট ১ ও ২) নামে কারখানাটির মালিক মো. জুবের আলম (৩৮) ও তার ভাই কারখানার ম্যানেজার মো. জুনায়েদ হোসেন ওরফে রুবেল (৩০)। মামলায় কারখানা ম্যানেজার জুনায়েদ হোসেন রুবেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, মাইজপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে চিকিৎসা বর্জ্য মজুত ও প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছিল। পুলিশের সহযোগিতায় ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় কারখানা ম্যানেজারকে আটক করা হয়। অভিযানের পর কারখানা মালিক ও আটক ম্যানেজারকে আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। মামলায় আটক আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু পরিবেশ আইনের মামলা, তাই পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা মামলা তদন্ত করবেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চান্দগাঁও থানার হাজীরপুল মাইজপাড়া এলাকার খাজা ট্রেডিং নামে দুটি কারখানায় অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য ইঞ্জেকশনের খালি ভায়াল, ব্যবহার করা সিরিঞ্জ ও সুঁই, ক্যাথেটার, রক্ত সঞ্চালন ব্যাগ, টিউব, প্লাস্টিক ও ধাতব কোটা মজুত করা হয়েছিল। কারখানা দুটিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানে ১৫৯৪ কেজি ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য জব্দ করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক। অভিযানে অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট রুবাইয়াত তাহরীম সৌরভ, সিনিয়র কেমিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী পরিচালক রোমানা আকতার, পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসাইন, পরিদর্শক মুহম্মদ আশফাকুর রহমান, সিনিয়র টেকনিশিয়ান মো. ওমর ফারুক অংশ নেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, চান্দগাঁও এলাকার এক ব্যক্তির দুটি কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে চিকিৎসা বর্জ্য মজুত ও প্রক্রিয়াকরণের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালানো হয়। এসময় দেখা যায় কারখানায় ২৫-৩০ জন নারী-পুরুষ শ্রমিক চিকিৎসা বর্জ্য পৃথক করছেন। কারখানা দুটির কোনো পরিবেশগত ছাড়পত্র, চিকিৎসা বর্জ্য মজুত ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স নেই। ঘটনাস্থল থেকে কারখানার ম্যানেজারকে আটক করে পুলিশে সৌপর্দ করা হয়।

Check Also

আ.লীগের শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন

ঘোষণা ডেস্ক :বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ ও আন্দোলনের পতিত শেখ হাসিনা সরকারের শেষ পাঁচ বছরে দেশে ১৬ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *