
নিজস্ব প্রতিবেদক : ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রামে বিগত ১০ বছরে ৬ হাজার ২০০ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। এছাড়া অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। তাই চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনই হচ্ছে আমাদের প্রধান কাজ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইর নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুল আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন। এই উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে নিয়েছেন এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। চলমান প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম প্রকৃত অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে উঠবে। এসময় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অর্থনীতির লক্ষ্য অর্জনে দেশের ব্যবসায়ীদের এখনও ঢাকার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। ঢাকায় থাকা সরকারি-বেসরকারি সেবার বিকেন্দ্রীকরণ করা এখন সময়ের দাবি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেল ব্যবসায়ীদের অন্যতম দুঃখ। তাই দেশের সব এলাকায় এ ধরনের স্কেল বসাতে হবে কিংবা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দ্রুত এটি অপসারণ করতে হবে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় মাহবুবুল আলমের জীবনচরিত উপস্থাপন করেন প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম।
অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নবনির্বাচিত সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, মাহবুবুল আলম জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে কৃতিত্বের ছাপ রেখেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের ব্যবসায়ীরা তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন।
সালাহউদ্দিন মো. রেজা বলেন, মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রির সভাপতি হিসেবে পাঁচ বার দায়িত্ব পালন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা নির্বাচিত হওয়াও আরেক ইতিহাস। বে-টার্মিনাল এবং গভীর সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন হবে। এক্ষেত্রে মাহবুবুল আলম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক বলেন, এফবিসিসিআইর সভাপতি হিসেবে মাহবুবুল আলম চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নেবেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে পাশাপাশি চট্টগ্রাম গৌরব অর্জন করবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান এবং আলী আব্বাস, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম, প্রেস ক্লাবের কার্যকরী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ, সানপ্লাস গ্রুপের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মধু, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, প্রেস ক্লাবের দাতা সদস্য প্রদীপ দাশ, মোহাম্মদ শওকত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালামত আলী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগির আহমদ, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
মাহবুবুল আলমকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, কার্যকরী সদস্য মো. আইয়ুব আলী এবং মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুসহ প্রেস ক্লাবের সদস্য, দাতা সদস্য, ব্যবসায়ী নেতা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।