নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কীর্তিমান চাকমা বলেছেন, ‘নগরীতে চলাচলরত ছোট-বড় গণপরিবহনে ১৮ বছরের নিচে কোনো চালক পাওয়া গেলে তাকে কারাদন্ড প্রদান এবং এক সপ্তাহ গাড়ি জব্দ রাখা হবে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা এখন দিন দিন কঠোর হচ্ছি। আগে চালক-হেলপারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, সচেতনতা তৈরি করেছি, এখন আমরা আইন প্রয়োগ করতে চাই। এছাড়া আমরা (ট্রাফিক) এতো অমানবিক বা অমানুষ নই যে, যাকে তাকে ইচ্ছেমতো মামলা দিব, গাড়ি জব্দ করবো। চালকদের ভুলের কারণে আমাদের আইন প্রয়োগ করতে হয়। অহেতুক কোনো গাড়িকে আমরা সিগন্যালও দিই না।’
বুধবার(৩০ আগষ্ট) নগরীর সিএন্ডবি বালুরটাল এলাকায় ট্রাফিক উত্তর বিভাগ আয়োজিত পরিবহন চালক-হেলপারদের সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘চালকদের ভুলের কারণে মালিকদের মাশুল দিতে হয়। চালকরা একে অপরের সাথে অসুস্থ প্রতিযোগিতা করলে দুর্ঘটনাসহ গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। একইভাবে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করালে পেছনে আরও ৮-১০টা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। এতে যানজট তৈরি হয়। পরে যখন সার্জেন্ট অপরাধের মামলা দেয় বা আইন প্রয়োগ করে তার ক্ষতিপূরণ মালিককে দিতে হয়। এরকম মাসের মধ্যে যদি ৫-৬টা মামলা হয়ে যায়, মালিক তো নিঃস্ব হয়ে যাবে। সুতরাং, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন, ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালান।’
মোহরার টিআই মো. রেজাউল করিম খানের সভাপতিত্বে ও পরিদর্শক (টিআই প্রশাসন) মো. কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রাফিক উত্তর বিভাগের সহকারী কমিশনার আসিফ মাহমুদ গালিব। বক্তব্য রাখেন, টিআই (প্রবর্তক) উত্তম কুমার দেবনাথ, টিআই (চান্দগাঁও) বিপুল পাল, টিআই (বায়েজিদ বোস্তামি) মো. আলমগীর হোসেন এবং টিআই (মুরাদপুর) বশিরুল ইসলাম।