ঘোষণা ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতমূখী হচ্ছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। এরই মধ্যে দেশটিতে ঘুরে এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। বিজেপিসহ মোদি সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারকদের সাথে বৈঠকে সফল আলোচনার দাবি আওয়ামী লীগের।
বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছে চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদল।
এরই মধ্যে আলোচনায় ঘি ঢেলেছে ভারতের দৈনিক আনন্দবাজারের “হাসিনাকে দুর্বল করলে ক্ষতি সবার, বার্তা আমেরিকাকে” ও বাংলাদেশের মানবজমিনের “সূত্রবিহীন রিপোর্ট নানা আলোচনা” এমন খবরের শিরোনাম।
এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির নীতি নির্ধারকেরা কী ভাবছেন? দলটির নেতারা বলছেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশর সবকিছুতে ভারতের প্রভাব রয়েছে। তাই সব দলই চাইবে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে। বিএনপিও এর বাইরে নয়।
এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ভারতের সঙ্গে এ দেশের সবার সুসম্পর্ক থাকবে সেটা যে কোন রাজনৈতিক দলই হোক না কেন। এটা খারাপ কিছু না, এটা ভালো। এখন ভারত যদি মনে করে শুধু আওয়ামী লীগই তাদের বন্ধু তবে সেটা ভারতের সমস্যা, আমাদের না।
আর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ বলেন, আমরা চাই ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জনগণের যে চাহিদা সেটির তারা প্রতিপালন ঘটাক। কিন্তু আমরা বরাবরই লক্ষ্য করি যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ-ভারত মূখীতা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
দলটির নীতি নির্ধারক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারে বিশ্বাস করে এমন বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায় বিএনপি। আমন্ত্রণ পেলে ভারত সফরে যাবেন তারা।
ভারত যদি চায় বিএনপি দেশটির সঙ্গে কাজ করতেও আগ্রহী বলেন জানান, বিএনপির এই নেতা।