দেশে ব্যাপকহারে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতিনিয়ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ জ্বর। আর এ জন্যই প্রথমদিকে জ্বর হলে অনেকেই এটিকে সাধারণ জ্বর মনে করছেন। এজন্য জ্বর নিয়ে এখন থাকতে হবে বাড়তি সতর্ক।
অন্যান্য সাধারণ জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গুজ্বর আলাদা করে বোঝার বেশকিছু উপায় আছে। চলুন জেনে নিই, কীভাবে সাধারণ জ্বর এবং ডেঙ্গুর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন…
* ডেঙ্গু হলে জ্বরের পাশাপাশি মাথাব্যথা, হাত-পাসহ সারা শরীরে ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে ব্যথা হয় চোখের পেছনেও।
* বমি বমি ভাব এবং অরুচিও হয় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর। গাঁটেও ব্যথা অনুভূত হয়।
* গায়ে র্যাশ, চুলকানি এমনকি ডায়রিয়াও শুরু হতে পারে।
* দাঁতের মাড়ি , নাক কিংবা মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হতে পারে।
* গলাব্যথাও ডেঙ্গুর অন্যতম লক্ষণ।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে করণীয়…
* ডেঙ্গুর লক্ষণ বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ঘনঘন পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। শরবত, ফলের রস, পাতলা ঝোল, ডাল, স্যুপ, লিকার চা ইত্যাদি খাবার ঘনঘন খেতে হবে।
* প্রতি ৩ ঘণ্টা পরপর জ্বর মাপতে হয় ডেঙ্গু রোগীর। এই সময় রক্তচাপ কমে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই নিয়মিত সেটাও মাপতে হবে। জ্বর হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়া যাবে না।
* এই সময় রক্তে প্লাজমা ও অণুচক্রিকার মাত্রা কমে যায়। তাই বেশি করে ফল বিশেষ করে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।
* ডেঙ্গু শক সিনড্রোম থেকে মানবদেহে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে পাল্স রেট অনেকটা বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ খুব কমে যায়। এসব লক্ষণ বুঝতে পারলে সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত।