অপরাধ ঘোষণা :বান্দরবানে চলমান সংঘাত নিরসনে গঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি দেশের অভ্যন্তরে সশরীরে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) বৈঠকের আহ্বান জানালেও কেএনএফ তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে কেএনএফ বৈঠকে বসতে রাজি নয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) বান্দরবান জেলা পরিষদ সম্মেলনের পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকের পর এ তথ্য জানা গেছে।
সকাল ১০টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষ থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির ১০ সদস্য ও ভার্চুয়ালি কেএনএফের ৪ সদস্য এই বৈঠকে অংশ নেয়।
বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মূখপাত্র কাঞ্চনজয় তংচঙ্গ্যা, সদস্য রেভা. লালজারলম বম, লেলুং খুমি, বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, মনিরুল ইসলাম মনু, মংচিংনু মারমা, কৃপা ত্রিপুরা, লালথাংজেল, রেভা. পাকসিম, এড. বাচিংথোয়াই মারমা এবং কেএনএফ মূখপাত্র ব্রি. জে. মইয়া, কর্নেল ভাপুয়াল, মেজর লিয়ানা, মেজর স্ট্যাওয়ার্ড অংশ নেয়।
শান্তি কমিটির মূখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা জানিয়েছেন- কেএনএফ যদিও সশরীরে বৈঠকে বসতে রাজি হয়নি। তবে ভার্চুয়ালি বৈঠক চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। তারা তাদের দাবিগুলো বৈঠকে তুলে ধরেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তারা লিখিতভাবে কোন কিছু জানায় নি। নিরাপত্তার কারণে তারা সশরীরে বসতে রাজি হচ্ছে না বলে কেএনএফ এর পক্ষ থেকে জানানো হলেও তাদের বরাবরই আশ্বস্ত করা হয়েছে।
এদিকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি নিয়েও কেএনএফ আপত্তি তুলেছে বলে জানা গেছে। কমিটিতে জনসংঘতি সমিতি পন্থী লোকজন রয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। আগামী বৈঠক সশরীরে ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করতে হবে বলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কেনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির কাছে যে তিনটি দাবি পেশ করেছে সেগুলো হল- কেএনএফ পার্বত্য চট্টগ্রামের ৯টি উপজেলা (বাঘাইছড়ি, জুরাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, রোয়াংছড়ি, রুমা, থানছি, লামা ও আলিকদম) নিয়ে একটি পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রণয়নসহ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রদান, প্রশাসনিক ব্যবস্থা থেকে আলাদা হিসেবে চিহ্নিতকরণ এবং জেলা ও আঞ্চলিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যবস্থা থেকে পৃথকীকরণ করাসহ পাহাড় ও বনাঞ্চল সংরক্ষণার্থে ‘ইনার লাইন পারমিট’ (আই এলপি) প্রণয়ন করা।