ঘোষণা ডেস্ক: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন বলেছেন, ওমানে সংরক্ষিত আসনের (চট্টগ্রাম) সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঘটনা প্রবাসী ও বাংলাদেশ সরকারের জন্য বিব্রতকর। ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তাকে মুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্থানীয় আইনকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার এবং মেনে চলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি প্রত্যাশা থাকবে যে বাংলাদেশি নেতারা ও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা যখন বিদেশ সফর করেন, তখন তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও তাদের সভা করার ক্ষেত্রে প্রবাসীরা স্থানীয় আইন যথাযথভাবে মেনে চলবেন। যেন এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে না হয়।
এ ধরনের পরিস্থিতি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যেমন বিব্রতকর, তেমনি বাংলাদেশ সরকারের জন্যও বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেন সেহেলি সাবরীন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই সভায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যে কয়জন ছিলেন, তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ওমানে কোনো ধরনের সভা করার ক্ষেত্রে নিষেধ আছে এবং যারা ওখানে সভা করেছিলেন, তারা ওমান সরকারের অনুমতি নেননি। এ ছাড়া সংখ্যায়ও অনেক বেশি ছিলেন। এটি হোটেলে করা হয়েছিল। এ জন্য পুলিশ তৎপরতা চালায়।
সংসদ সদস্যকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়ানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দূতাবাস থেকে যত দূর জানতে পেরেছি যে সংসদ সদস্যকে পুলিশ কাস্টডি থেকে আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা গিয়ে পুলিশকে বুঝিয়ে তাকে মুক্ত করে। দূতাবাসের ক্ষেত্রে যেটা হয় যে সবকিছুর একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া আছে। দূতাবাস যখন হস্তক্ষেপ করেছে, তখন দূতাবাসের একটি মুচলেকা…হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই তো পুলিশ কাস্টডি থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত সফরে ওমানে যান খাদিজাতুল আনোয়ার। মঙ্গলবার ওমানের হাফফা হাউস মাস্কাট হোটেলে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর সঙ্গে বৈঠক করার সময় তাকে আটক করা হয়। কারণ ওই বৈঠকের ব্যাপারে কোনো অনুমতি ছিল না। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর মুচলেকায় ছাড়া পান তিনি।