শিরোনাম
Home / রাজনীতি / আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কখনো পালায় না: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কখনো পালায় না: প্রধানমন্ত্রী

ঘোষণা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে আছে এবং আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না, বরং তার দলের একমাত্র লক্ষ্য দেশবাসীর জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন। ‘আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না’-বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে তিনি মঙ্গলবার(১ আগষ্ট) এ কথা বলেন। এদিন তিনি বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।

বিএনপির কথা উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া আর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। যাদের দলের নেতা একজন দণ্ডিত, এখন তারা বড় বড় কথা বলছেন। তিনি বলেন, আপনারা (বিএনপি নেতারা) তো ইতোমধ্যেই পলাতক রয়েছেন। একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির অধীনে তারা কীভাবে এত বড় কথা বলতে পারে?

তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হুমকি ও কঠোর বাধা সত্ত্বেও তিনি দেশে ফিরেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেসময় আমি বিদেশে ছিলাম। তারা (১/১১ সরকার) আমি দেশে ফিরি, তা চায়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে আসতে দেয়নি। সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সকে আমাকে নিয়ে ঢাকায় না নামতে বলা হয়েছিল। এমন নির্দেশনা দেওয়ার পরও আমি জোর করে বাংলাদেশে ফিরে আসি। আমার দলের নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যারা বিমানবন্দরে যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। বরং আমি যখন ঢাকায় অবতরণ করি, হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিল। আমি সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ফিরে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো গণহত্যা চালিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, অনেককে নির্যাতন করা হয়েছে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং দখল করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা এমন অপকর্ম করেও টিকে থাকতে পারেনি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং সহনশীলতা দেখাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির ২০০১ সালের পর দমন-নিপীড়ন চালানো এবং ২০১৩-১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যদি এর এক শতাংশও প্রতিশোধ নিতাম, তাহলে এখন আপনার হদিস পাওয়া যেত না। আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাস করি না। এ সময় তিনি বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং তার দলের নেতাকর্মীদের এডিস মশা দমনে প্রজনন স্থান ধ্বংস, জমে থাকা পানি অপসারণ এবং বাড়িঘর ও এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য কাজ করতে বলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী ও কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক এবং যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এতে বক্তব্য দেন। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের অন্য শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা শেষে শোকের মাস উপলক্ষ্যে কেআইবিতে রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Check Also

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও তার দলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ

ঘোষণা ডেস্ক :কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *