শিরোনাম
Home / রাজনীতি / আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না-  প্রধানমন্ত্রী

আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না-  প্রধানমন্ত্রী

ঘোষণা ডেস্ক : দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখতে সশস্ত্র বাহিনীকে সার্বিকভাবে উন্নত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব যেন সুরক্ষিত থাকে, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি। সে কারণে আমরা আমাদের নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীকে সার্বিকভাবে উন্নত ও সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছি, যেন আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন ও দক্ষ হয়ে ওঠে।’

বুধবার (১২ জুলাই) পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিএনএস শেরেবাংলার নবনির্মিত ঘাঁটি, ৪১টি পিসিএসের চারটি জাহাজ ও চারটি এলসিইউর কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কমিশনিং অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘সরকার নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে তারা আন্তর্জাতিক স্তরের যোগ্যতা ও মান অর্জনের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে উঠেছে।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। এতে বানৌজা শেরেবাংলা ঘাঁটি এবং নৌবাহিনীর আটটি জাহাজের ওপর একটি অডিও ভিজুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৪ সালের ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণ থেকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। আমাদের নৌবাহিনীর প্রয়োজন আমাদের রক্ষা করার জন্য। সাইক্লোন মোকাবেলা করার জন্য। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা শান্তিকামী জাতি। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু আত্মরক্ষা করার মতো ক্ষমতাও আমাদের থাকা দরকার।’

নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত সাড়ে ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুযায়ী নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌবহরে এভিয়েশন ও সাবমেরিন সংযোজন করে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিশ্বদরবারে আজ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নৌবাহিনীতে সংযোজন হয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, গড়ে তোলা হয়েছে হেলিকপ্টার ও টহল বিমানসমৃদ্ধ নেভাল এভিয়েশন ও বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস। সমুদ্রে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে হেলিকপ্টার ছাড়াও একাধিক যুদ্ধজাহাজ এবং সরঞ্জামাদি ক্রয় ও নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

নিজেদের জাহাজ তৈরির সক্ষমতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা নিজেদের জাহাজ নিজেরা তৈরি করতে পারছি। আমরা চাই আমাদের দেশ আরো এগিয়ে যাক। আমাদের নৌবাহিনী এখন অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এ ঘাঁটি এবং জাহাজগুলো নিজ নিজ অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি পায়রা সমুদ্রবন্দরের নিরাপত্তা, দেশী-বিদেশী জাহাজগুলো নিরাপদে সমুদ্রপথে চলাচল, উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বিধান, চোরাচালান প্রতিরোধ, অনুপ্রবেশের মাধ্যমে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধ এবং বিভিন্ন দুর্যোগে উপকূলীয় মানুষকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’

Check Also

কী কথা হলো ইউনূস-মোদীর ৪০ মিনিটের বৈঠকে

ঘোষণা ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *