
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানাধীন বেলতলীঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাহাড় থেকে সাড়ে তিনশো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে ফয়েজ লেক এবং বেলতলীঘোনা এলাকায় ১৫টির মতো পাহাড় কাটার হটস্পট চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (৯ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। এসময় অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে ২. ৮৮ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদ রানা এবং বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামিউল হিকমাহ।
অভিযানে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবরসহ পুলিশের ৮০ জন ফোর্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসানসহ র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পিডিবি, কর্ণফুলী গ্যাস, ওয়াসা প্রতিনিধি এবং আনসার সদস্যরা অংশ নেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এনডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, রিট পিটিশন নম্বর ৯১১৪/২০২২ এবং লিভ টু আপিল নং-২৪৯২/২০২২ এ নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে যে, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানা, আকবর শাহ থানা, খুলশী থানা, সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর-আলীনগর এলাকা এবং অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় আইন ভঙ্গ করে, স্বত্ব ব্যতিরেকে, অযৌক্তিকভাবে পাহাড় কেটে যেসব স্থাপনা এবং ঘর গড়ে উঠেছে সেগুলো অবিলম্বে উচ্ছেদ করতে হবে। বিষয়টি বিবেচনায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রামের পাহাড়সমূহ পুনরুদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের অভিযানে ফয়েজ লেক সংলগ্ন লট-৯ পাহাড়তলী মৌজার ৮ একর পাহাড়ি জায়গা থেকে প্রায় পাঁচশটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। রোববার বেলতলীঘোনা এলাকায় দ্বিতীয় দিনের অভিযানে সাড়ে তিনশো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের পর উদ্ধারকৃত জায়গা যেন পুনরায় দখল না হয় এজন্য পিলার ও কাঁটাতারের বেষ্টনি স্থাপনা করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়বেষ্টিত এলাকা আকবর শাহ, খুলশী, সীতাকুণ্ড, বায়েজিদ থানাসহ অন্য সব পাহাড়ি এলাকার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।