শিরোনাম
Home / রাজনীতি / জোটের বৈঠক শেষে ফখরুল: সরকার পদত্যাগের ঘোষণা না দিলে সংলাপ নয়

জোটের বৈঠক শেষে ফখরুল: সরকার পদত্যাগের ঘোষণা না দিলে সংলাপ নয়

ঘোষণা ডেস্ক: পদত্যাগের ঘোষণা না দিলে সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সমমনা ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সরকার পতনের দাবিতে শীঘ্রই চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছদ্মবেশী বাকশাল কায়েম করেছে। তাই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছে বিএনপি। বিএনপির সঙ্গে ৩৬টি রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন করছে। আন্দোলনের বিষয়টা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ যাই বলুন না কেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তার আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগের ঘোষণা সরকারকে সবার আগে দিতে হবে। তা না হলে সংলাপের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অত্যন্ত সচেতনভাবে দেশের অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এ বছরটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সরকার আবারও পাতানো নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু জনগণ তাদের পাতানো নির্বাচন গ্রহণ করবে না। কারণ, আগামী নির্বাচনের ওপর নির্ভর করবে দেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অস্তিত্ব থাকবে কিনা।

ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগে সম্মিলিতভাবে যৌথ ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবে। ‘বিএনপি নির্বাচনে এলে সংলাপ হবে’ বলে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ফখরুল বলেন, আমরা কোনো ফরমেটেই সংলাপে যেতে চাই না, যতক্ষণ না সরকার ঘোষণা দেবে যে, একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক বলেন আর যাই বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। এই ঘোষণা সরকারকে সবার আগে দিতে হবে এবং পদত্যাগ করেই দিতে হবে।

ফখরুল বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে সকল মানুষ খুশি হবে। তাই আমরা চাই নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, উনি পদত্যাগ করুক। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবেন আর বলবেন সব ত্যাগ স্বীকার করব এটা ঠিক নয়। আমরা মনে করি, আগামী নির্বাচন দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হবে কিনা।

ফখরুল বলেন, আমরা বার বার নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছি। আর আওয়ামী লীগ বার বার সংবিধানের কথা বলছে। কিন্তু সংবিধান তারা কেটে ছেঁটে এমন জায়গা নিয়ে এসেছে যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী যদি ত্যাগ স্বীকার করতে চান তাহলে ত্যাগ স্বীকার করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন।

১২ দলীয় জোটের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম খান, ন্যাপের আজহারুল ইসলাম, জাস্টিস পার্টির সৈয়দ জাবেদ মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম প্রমুখ। আর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।

Check Also

১৫ ডিসেম্বর থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট পাবেন প্রবাসীরা: আইন উপদেষ্টা

ঘোষণা ডেস্ক :প্রবাসীদের পাসপোর্ট সমস্যা দ্রুত নিরসনের আভাস দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *