নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। তিনবারের সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ২ জুন মারা গেলে এ আসনটি শূন্য হয়।
এরপর উপনির্বাচনে অংশ নিতে ২৯ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।
সোমবার (৩ জুলাই) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তার নাম চূড়ান্ত করা হয়।
মহিউদ্দিন বাচ্চু সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক। বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য।
গণভবনে বোর্ডের সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন বাচ্চুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২২ জুন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত জাতীয় সংসদের ২৮৭ চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য (২৪ থেকে ২৬ জুন) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের টিকিট পেতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ২৯ জন। এর মধ্যে প্রয়াত সাংসদ আফছারুল আমিনের স্ত্রী, ছেলে ও ভাই, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারাও ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডা. আফছারুল আমীন এই আসনে টানা তিনবার বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ২ জুন আফছারুল আমীন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হওয়ায় আগামী ৩০ জুলাই এ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৬ জুলাই, আপিল দায়ের করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত, আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ জুলাই। সব কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে ইভিএম ব্যবহার করে। ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা।