
নিজস্ব প্রতিবেদক :চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলায় সুমি আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, কোরবানির ঈদে যৌতুক হিসেবে গরু না দিয়ে ছাগল দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা নিজেদের বাঁচতে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সুমি আক্তার উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা সিরাজ মিয়ার মেয়ে। বছরখানেক আগে উপজেলার ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের সৈয়দ পাড়া এলাকার বাচা মিয়া হাজির বাড়ির ফরিদ আহমদের ছেলে কাতার প্রবাসী তাজুল ইসলাম ওরফে নয়নের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের মাসখানেক পরে স্বামী প্রবাসে চলে গেলে তার উপর নেমে আসে শারীরিক -মানসিক নির্যাতন।
মৃতের মা মিনা আক্তার বলেন, কোরবানিতে সুমির শ্বশুর বাড়ির লোকজন গরু দাবি করে। তবে তাদের উপহার হিসেবে ছাগল দেওয়া হয়েছে। এর জের ধরে সুমিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে তারা ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
নিহতের শ্বশুর ফরিদ আহমদ বলেন, কোরবানির জন্য তাদের কাছ থেকে কোনো কিছু দাবি করা হয়নি। তবে তারা উপহার হিসেবে একটি ছাগল পাঠিয়েছেন। এটির মাংস প্রতিবেশীদের পাশাপাশি সুমির পরিবারের জন্যও পাঠানো হয়েছে। তবে সুমি কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানা যাবে। আপাতত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।