ঘোষণা ডেস্ক : ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর তিন দফা বৈঠক করেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। এ-সম্পর্কিত ছবিসহ তথ্যপ্রমাণও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, কাতার, দুবাই ও ভারতে তিন দফা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নূর।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসে রোহিঙ্গাদের জন্য ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির খাদ্যসহায়তা অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, ‘নুরের সঙ্গে কাতার, দুবাই ও ভারতে তিন দফা বৈঠক হয়েছে মোসাদের। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আমরা বৈঠকের ছবি পেয়েছি। কাতার বিশ্বকাপের সময় (২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয়) বিষয়টি আমাদের নজরে আসে।’
ইউসুফ রামাদান আরও বলেন, ‘মোসাদের সঙ্গে তাঁর (নুর) বৈঠকের বিষয়ে তিনি যদি অস্বীকার করে থাকেন, তা ফিলিস্তিনের জন্য ভালো। তবে বিষয়টি সত্য হলে এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ইসরায়েল থেকে টাকা নেওয়া মানুষ কখনো নেতা হতে পারে না। এ ধরনের নেতা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।’
এদিকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের অভিযোগকে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন নুরুল হক নুর। তিনি জানান, সরকারের এজেন্সির ডলার খেয়ে তিনি এমন কথা বলছেন। মোসাদের সঙ্গে বৈঠকের অভিযোগের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকদের নুর বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সরকারের কোনো এজেন্সির ডলার খেয়ে প্ররোচনায় পড়ে এমন একটা মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিলেন কি না—এটা আমার সন্দেহ হয়। আমার পাসপোর্টে ভারতীয় ভিসা নেই।’
নুর আরও বলেন, ‘এই অভিযোগটি গত ডিসেম্বরে তুলেছিল আওয়ামী লীগের সাইবার সেল। সে সময় তারা ফেক ছবি, ভিডিও, ভয়েস প্রচার করেছিল। তখনো আমি এই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। এখনো আমি চ্যালেঞ্জ করছি। তাঁর অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন না। নিজে সুবিধা নেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলছেন।’
নুরুল হক নুর বলেন, ‘তাঁর এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন, অসত্য। এই ধরনের কথা এই রাষ্ট্রদূত বলেছেন কি না, আমি জানি না। দেশে দীর্ঘদিন ধরে যে রাষ্ট্রদূতেরা থাকেন তাঁরা জানেন যে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কথাবার্তা বললে তাঁরাও অনেকে সুবিধা পান। যে কারণে অনেকেই দেশের রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছেন। এটি দেশের জন্য খুবই হুমকিস্বরূপ।’
সম্প্রতি গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের মধ্যে দ্বন্দ্বে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে নুরের বৈঠকটি আবারও সামনে আসে। রেজা কিবরিয়া অভিযোগ করেন, মোসাদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা নিয়েছেন নুর।