নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দোকান লুট মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
এতে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান। এতে অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করা হয়।
রোববার (১১ জুন) দুপুরের দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল কমলনগরে আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
আদালতের বিচারক তারেক আজিজ ওসিসহ সব আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
আদালতের পেশকার মো. জসিম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
আগামী ২০ জুন তাদের আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক।
বাদীর আইনজীবী মো. সোলাইমান মোল্লাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের শাহজাহান, চরমার্টিন গ্রামের নুর আলম ও চরলরেন্স গ্রামের কাউছার।
বাদী মজিবুর উপজেলার মধ্য চরমার্টিন গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও তোবারগঞ্জ বাজারের হার্ডওয়্যার দোকানের ব্যবসায়ী।
বাদী মজিবুর রহমান ও এজাহার সূত্র জানায়, আসামি শাহজাহানের পরিবারের সঙ্গে মজিবুরের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জেরে শাহজাহান তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করলে গত ১৮ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়। ১৪ দিন জেল খেটে মজিবুর জামিনে মুক্ত হন। তিনি জেলে থাকাকালীন ২৪ এপ্রিল শাহজাহানরা তার (মজিবুর) দোকানের গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। পরে জেল থেকে বের হয়ে ৪ জুন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহজাহানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মজিবুর মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। ৭ জুন আদালতের নির্দেশনা পেয়ে কমলনগর থানা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নথিভুক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেলে তোরাবগঞ্জ বাজার থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন মামলার আসামি শাহজাহান ও মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার (৯ জুন) ভোর রাত ৩টার দিকে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান আসামি শাহজাহানকে ছেড়ে দেয়। একইদিন সকাল ৬টার দিকে শাহজাহান লোকজনসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাদীর বাসার সামনে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেয়। এ নিয়ে বাদী ও তার পরিবার আতঙ্কে রয়েছেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনো আদালতের কোনো চিঠি পাইনি। আসামি শাহজাহান হার্টের রোগী। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে শর্ত দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।