শিরোনাম
Home / চট্টগ্রাম / চট্টগ্রামে কোরবানির ঈদের দিন মফস্বলের চামড়া শহরে ঢুকতে পারবে না

চট্টগ্রামে কোরবানির ঈদের দিন মফস্বলের চামড়া শহরে ঢুকতে পারবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিকাল ৪টার আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নির্ধারণ করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এই লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। ঈদের দিন মফস্বলের চামড়া শহরে আনা যাবে না। নিজ নিজ এলাকায় চামড়া লবণজাত করে ঈদের কয়েকদিন পর বিক্রির জন্য শহরে আনার অনুমতি দেয়া হবে।

কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো পরিচ্ছন্নতার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ গতবছর যে সময়ে কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করেছিলাম। এবার তার আগেই পরিষ্কার করতে পারবো। এছাড়া দুর্গন্ধমুক্ত করতে ছিটানো হবে ব্লিচিং পাউডার। ঈদের পরদিনও বর্জ্য অপসারণ করা হবে। তারপর দিনও কেউ যদি কোরবানি পশু জবাই করেন এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগকে খবর দেন, তাহলে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা গিয়ে সেই বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে। কোন অবস্থাতেই যেখানে-সেখানে পশুর নাড়িভুড়ি ফেলা যাবে না। সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত স্থানেই তা ফেলতে হবে। আর যত্রতত্র পশু জবাই না করার আহবান জানিয়ে বলেন, শহরকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে রাস্তায় পশু জবাই করা যাবে না। নালা-নর্দমায় বর্জ্য ফেলা যাবে না। কোরাবানিদাতারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রে একান্ত সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৩৭০টি গাড়ি ব্যবহার করা হবে। এবার বাহির থেকে দরপত্রের মাধ্যমে ১২০টি ডাম্প ট্রাক ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব গাড়ি রয়েছে ২৫০টি। ঈদের দিন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন ও মেকানিক্যাল বিভাগের প্রায় ৪৩০০ জনবল নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যে পরিচ্ছন্ন বিভাগের ৩৪৫০ জন কর্মী রয়েছে। বিকাল ৪টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান মেয়র মহোদয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চামড়া ব্যবসায়ীসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করবেন। কোরবানির ঈদের দিন জেলা থেকে যাতে পশুর চামড়া শহরে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গতবারও একই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের দিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে পশুর চামড়া বিক্রির জন্য শহরে আনা হলে তা শহরের উপর চাপ পড়ে। তাতে চামড়ার দামও পড়ে যায়। বিক্রি করতে না পারলে বেপারিরা তা সড়কের উপর ফেলে রাখে। তা পরিষ্কার করা সিটি কর্পোরেশনের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ঈদের দিন বিভিন্ন উপজেলায় ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনে যদি সেখানে লবণজাত করে তাহলে ওই চামড়ার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সংরক্ষিত ভাল মানের চামড়ার ন্যায্য মূল্য পাওয়ার ভালো সম্ভাবনা থাকে।

Check Also

সিএমপির ৯ থানায় নতুন ওসির পদায়ন

ঘোষণা ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৯ থানার ওসি পদে পদায়ন করা হয়েছে। বুধবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *