নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে ৬ থেকে ৭ দিন লাগবে বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। শনিবার (১৩ মে) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। গ্যাসের চাপ কমায় চুলা জ্বালাতে সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা। গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে গেছে। তাই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বড় বড় অঞ্চলে লোডশেডিং বাড়ছে।
বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা এলএনজি ভাসমান দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়। শুক্রবারও সেখান থেকে ৬২ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ায় রাত ১১টায় দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। দিনে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় গড়ে ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট। এতে সব সময়ই সরবরাহ-ঘাটতি থাকে।
এক খাতে বন্ধ করে অন্য খাতে সরবরাহ বাড়ানোর (রেশনিং) মাধ্যমে ঘাটতি সমন্বয় করা হয়। এর মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে আসে ২১৫ থেকে ২২০ কোটি ঘনফুট। এলএনজি বন্ধ হওয়ায় গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি বেড়ে গেছে।