বাঁশখালী প্রতিনিধি : র্যাবের সোর্স সন্দেহে ক্রসফায়ারে নিহত দুই ডাকাতের ছেলের হাতে হামিদ উল্লাহ (৩৮) নামের এক কৃষক খুন হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছে তার স্ত্রী মরতুজা বেগম (২৮)। মরতুজাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা, পরে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাড়ী ফিরেছেন। বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের দক্ষিণ সরলের হাজিরখীল গ্রামে রবিবার(৮ মে) ভোররাত সাড়ে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হামিদ উল্লাহ ওই এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাহফুজুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে র্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত ডাকাত জাফর আহম্মদ ওরফে জাফর মেম্বার এবং ডাকাত মো. খলিলের ছেলেরা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
নিহত হামিদ উল্লাহর বোন জোহরা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই গত শুক্রবার (৫ মে) বেড়ার তৈরি নতুন বাড়ি করে ঘরে উঠেছে। ওই ঘরেই রাতে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন করে ভাইকে হত্যা করেছে। ২০১৯ সালে ডাকাত জাফর ও খলিল র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়। এরপর থেকে র্যাবের সোর্স মনে করে ওদের ছেলে মো. মোরশেদ (২৮), মো. মিনহাজ (২০), এহসান (২৮), মো. মুনাফ (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাইকে হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই ঘটনার রেশ ধরে হত্যা করেছে। আমার ভাইয়ের ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে শিশু রয়েছে। বাবাকে হারিয়ে সন্তানরা অসহায় হয়ে গেছে।
এছাড়া ক্রসফায়ারে নিহত ডাকাত জাফর আহম্মদের স্ত্রী রহিমা আক্তার বর্তমানে সরল ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য। এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে রহিমা আক্তার বলেন, ‘রাতে আমার ছেলে মোরশেদ বাড়িতে ঘুম ছিল। আমার ছেলে খুন করেনি। তবে হামিদের সঙ্গে আমাদের জায়গা জমির বিরোধ আছে। কারা খুন করেছে জানি না।’
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, জায়গা জমির বিরোধ এবং র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহতের ঘটনার সোর্স সন্দেহে হামিদ উল্লাহ খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ওঠে এসেছে। তবে পুলিশ ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।