
চট্টগ্রামের রাউজানে পূর্বগুজরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ফোন পেয়ে দশম শ্রেণির একছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এ সময় পাত্রকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ছাত্রীর মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।
সোমবার (১০ এপ্রিল) উপজেলার ১০নম্বর পূর্বগুজরা ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ওই শিক্ষার্থীর আকদ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।
বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া শিক্ষার্থী পূর্বগুজরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সে পূর্বগুজরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড় ঠাকুরপাড়া গ্রামের প্রবাসী শাহ আলমের মেয়ে।
জানা যায়, প্রবাসী শাহ আলমের মেয়ের সাথে একই ওয়ার্ডের আবদুল শুক্কুরের দুবাই প্রবাসী ছেলে মো. হাসানের বিয়ে ঠিক হয়। আজ বিকেলে স্থানীয় বায়তুল আমান জামে মসজিদে তাদের আকদ শেষে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। স্কুল ছাত্রীর বিয়ের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুস সামাদ শিকদারকে খবর দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল শাহা।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাল্যবিয়ের সংবাদ পাওয়ার পর ইউএনওকে ম্যাসেজ দিই। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহমেদের মাধ্যমে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ করা হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহমেদও বাল্যবিয়ে পণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আজ বিকেল ৪টায় বাল্যবিয়ের সংবাদ পেয়ে ইউএনওকে বিষয়টি জানিয়ে তার নির্দেশে বিয়ে বন্ধ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় মেয়ের মা ও পাত্রকে ইউএনও’র দপ্তরে তলব করা হয়। আমিসহ যাই সেখানে। রাত ৮টার দিকে বর মো. হাসানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও মেয়ের মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ওই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া মেয়েটি খুবই মেধাবী। তার ক্লাস রোল ২। মেয়ের বয়স হয়েছে মাত্র ১৬ বছর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুস সামাদ শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, বাল্যবিবাহের তথ্য পাওয়ার পর ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।